আস্ত একটা গ্রাম|
রয়েছে ঘরবাড়ি, লোকজন, পশু-পাখি| কিন্তু নেই কোনো রাস্তা| এমনতা বোধহয় কেবল রূপকথাতেই সম্ভব| কিন্তু না এই পৃথিবীতেই রয়েছে এমন একটি গ্রামের অস্তিত্ব যেখানে নেই একটাও রাস্তা|
গিয়েথুর্ন। নেদারল্যান্ডসের ছোট্ট এবং সুন্দর একটা গ্রাম| এমনিতে বিদেশের আর পাঁচটি গ্রামগুলির মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর এই গ্রামের আলাদা বিশেষত্ব হলো এই গ্রামে যাতায়াতের জন্য একটাও সড়ক নেই| রাস্তা না থাকার জন্য নেই কোনো গাড়ি-ঘোড়া| ফলে গোটা গ্রামে কথাও শোনা যায় না একটাও গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ বা হর্নের আওয়াজ| নেই কোনো কোলাহল | তাই অপার নিস্তব্ধতা বিরাজ করে গ্রামটিতে| এই বিশেষত্বই গ্রামটাকে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। এই গ্রামে সবচেয়ে জোরে যে শব্দ শোনা যায়, তা হয়তো কোনও পশু বা কোনও পাখির ডাক। এই গ্রামকে নেদারল্যান্ডসের ভেনিসও বলা হয়। ১২৩০ সালে এই অদ্ভুত গ্রামের প্রতিষ্ঠা হয়।
এবার মনে হতেই পারে গ্রামে যারা বসবাস করেন তাঁরা যাতায়াত করেন কিভাবে ? গোটা গ্রামটিকে ঘিরে রয়েছে অজস্র ছোট্ট ছোট্ট ক্যানাল বা খাল| এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোটাই হয় খালের মাধ্যমে| এই গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার জন্য রয়েছে ইঞ্জিন দেওয়া নৌকা| সেই ইঞ্জিনেও সাইলেন্সার লাগানো যাতে কোনো শব্দ না হয়| গ্রামের বিভিন্ন দিক থেকে এই ক্যানাল বা খাল চলে যাওযায় গ্রামটাও ছোট ছোট দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সেই দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছে ১৫০টিরও বেশি সেতু। সিনেমা নির্মাতা বার্ট হান্সট্রা তাঁর কমেডি ফিল্ম ফ্যানফেয়ারের শুটিং-এর জন্য এখানে আসার পরই গ্রামটি প্রচারের আলোয় আসে|