হেরিটেজ শহরের শিরোপা পেল ভারতের ‘পিঙ্ক সিটি’ জয়পুর।সম্প্রতি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির তরফ থেকে একটি টুইট করা হয়। তাতে বলা হয়, জয়পুরকে হেরিটেজ সিটির মর্যাদা দেওয়া হল। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সোসাইটির ৪৩তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আজেরবাইজানের রাজধানী বাকুতে গত ৩০ জুন ইউনেস্কোর অধিবেশন শুরু হয়েছে। চলবে জুলাইয়ের ১৯ পর্যন্ত।
ইউনেস্কোর দিল্লির শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঐতিহাসিক সৌধের পাশাপাশি জয়পুরের প্রাচীন সংস্কৃতি এবং ও অতীত ঐতিহ্যের জন্যই এই শিরোপা। হিন্দু, মোগল এবং ব্রিটিশ প্রভাব পড়েছে রাজস্থানের নিজসব সংস্কৃতির বহমান ধারায়।
বীরগাথা আর ইতিহাসের শহর জয়পুরের নতুন সম্মানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘জয়পুর সংস্কৃতি ও বীরত্বের শহর। জয়পুরবাসীর অতিথিপরায়নতা সারা পৃথিবীতে সুবিদিত। তার টানেই সারা বিশ্বের পর্যটকরা এখানে আসে। সেই শহর ইউনেস্কোর তরফ থেকে হেরিটেজ সম্মান পাওয়ায় আমি গর্বিত।’
Jaipur is a city associated with culture and valour. Elegant and energetic, Jaipur’s hospitality draws people from all over.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 6, 2019
Glad that this city has been inscribed as a World Heritage Site by @UNESCO. https://t.co/1PIX4YjAC4
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটও জয়পুরের সম্মানে খুশি প্রকাশ করেছেন।
জয়পুর রাজস্থান রাজ্যের সব চেয়ে বড় শহর এবং রাজধানী। গোটা শহরটাই যেন গোলাপি রঙে একাকার।
১৮৭৬ সালে প্রিন্স অফ ওয়েলস ভারত ভ্রমণে আসেন আসেন। সেই সময় তিনি রাজস্থান সফর করেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতেই গোটা শহরকে ‘গোলাপি’ রঙে সাজিয়ে তোলেন তৎকালীন মহারাজা রাম সিং।
জয়পুর শহর গড়ে তোলেন রাজা জয় সিং। তাঁর নামানুসারে এই শহরের নাম রাখা হয় ‘জয়পুর'। রাজা জয় সিং খুব ছোট বয়সে রাজা হন। তিনি অম্বর পাহাড় থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন সমতল জয়পুরে। নতুন রাজধানী গড়ে তোলার দায়িত্ব ছিল এক বাঙালির হাতে। নাম বিদ্যাধর ভট্টাচার্য।
ওয়ার্লড হেরিটেজ কমিটির নতুন তালিকায় ভারতের জয়পুর ছাড়াও, তার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, চিন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং লাওস জায়গা করে নিয়েছে।
ইরাকের প্রাচীন শহর ব্যাবিলনকেও বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান দিয়েছে ইউনেস্কো।