অনলাইন ডেটিং-এর ফলাফল হিসেবে আসতে চলেছে ই-বেবিজ

সেই সময় আর বেশি দুরে নেই যখন পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুই হবে ই-বেবি| এরকম তা হওয়ার কারণ ২০৩৭ সালের মধ্যে যেসব শিশু জন্ম নেবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশুর বাবামায়ের দেখাই হয়েছে অনলাইনে|

ডিজিটাল যুগে দাঁড়িয়ে অনলাইনে গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড খোঁজা থেকে শুরু করে পাত্রী পছন্দ করা এমনকি বিয়েও আজকাল হচ্ছে অনলাইনে| না, সবজায়গায় হচ্ছে এমনটা নয়| বেশ কিছু জায়গায় অনলাইনে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আসতেও দেখা গেছে| বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে এই শিশুদের সংখ্যাই বেশি থাকবে পৃথিবীতে| আমেরিকার ডেটিং প্ল্যাটফর্ম ই-হারমোনি এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ বিজনেস স্কুল এর তরফ ঠিক করা গবেষণাতেও উঠে এসেছে এই একই ফলাফল| তারাও জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যেই পরিবর্তন আসবে শিশুদের মধ্যে| তার মানে কি তারা এখনকার শিশুদের থেকে বেশি অ্যাডভান্স হবে?

ই-হারমোনির থেকে পাওয়া ডেটা অ্যানালাইসিস থেকেই এইকথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন গবেষকরা| প্রেমিকযুগলদের উপর করা একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে ৩২% যুগল রয়েছেন যারা অনলাইনের মাধ্যমেই তাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন| আর অফলাইনে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মানসের সংখ্যা মাত্র ১৯%| সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ইউকে এমন একটি টিপিং পয়েন্টে পৌছে যাবে যেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় ৫০% রিলেশনই হবে অনলাইনে|

একদিকে অনেকেই অনলাইন ডেটিং-এর বিপক্ষে থাকলেও অনেকে আবার এর স্বপক্ষেও যুক্তি দিয়েছেন| অনেকেই জানাচ্ছেন, অনলাইন ডেটিং অ্যাপগুলি ইন্ট্রোভার্ট মানুষদের সাথী খুঁজে দিতে অনেকটাই সাহায্য করে| ই-হারমোনির কর্ণধার রোমান বারট্রেন্ড জানিয়েছে, এত সিঙ্গেল মানুষ তাদের ডেটিং ওয়েবসাইট থেকে নিজের পছন্দের জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন দেখে তাদেরও খুব ভালো লাগছে| তারা প্রতিনিয়ত তাদের পলিসি আপডেট করে যাচ্ছেন যাতে একটা সময় যখন সম্পর্ক অনলাইনের উপরেই টিকে থাকবে সেই সময় তাদের নামটাই লোকজনের সবার প্রথমে মাথায় আসে|   

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...