১২ জুলাই 'সেভ ওয়াটার ডে' ঘোষণা করে রাজ্যজুড়ে জল অপচয় রোধে অভিযানে নামছে রাজ্য সরকার। চারদিকে জল সংকটের খবর উঠে আসছে সাম্প্রতিককালে। দেশে যেমন তার প্রভাব পড়ছে, বিদেশেও জলের আকাল দেখা দিয়েছে। হিসেব করে জল খরচ না করলে ভবিষ্যতে আমরা হয়ত আর জল পাবনা। তাই দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্ম বোঝা ভালো।
রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে জল অপচয় রোধে প্রচার চালানো হবে। ট্যাবলো ও পথ নাটিকা সহ নানা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে জল অপচয়ের খারাপ দিকগুলি বোঝানো হবে। আগামী শুক্রবার কলকাতায় এই সচেতনতামূলক অভিযানে অংশগ্রহণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, পুলিশ প্রশাসন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের এই অভিযানে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে ভিডিও কনফারেনসের মাধ্যমে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ'-এর মত ধারাবাহিক প্রচার কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের জল অপচয় রোধ করতে উদ্যোগী প্রশাসনিক আমলারা। যত বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
যদিও বাংলার 'জল ধরো জল ভরো' কর্মসূচি এই মুহূর্তে সারা দেশেই প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু এখানেই থেমে না থেকে জল অপচয় আটকাতে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রচারে নামছে রাজ্য সরকার। প্রতি বছরই ১২ জুলাই 'সেভ ওয়াটার ডে' হিসেবে পালিত হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। শুক্রবার ওই দিনটিতে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে জল অপচয় রোধের নানা বার্তা দিয়ে একাধিক সুসজ্জিত ট্যাবলো বেরোবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকে র্যালি হবে। প্ল্যাকার্ড হাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করবে। প্রশাসনের সব দফতরের প্রতিনিধি সহ পুলিশও থাকবে ওই অভিযানে। তারা জলের অপচয় নিয়ে প্রচার করবে।
আসলে জল অপচয় বন্ধ করার জন্য বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনোভাবেই কাজ হচ্ছেনা। শহরের প্রায় প্রতিটি কল থেকেই অনবরত জল পড়ে যাচ্ছে। এভাবে প্রচুর জল অপচয় হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাই একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর যদি প্রচারকার্য চালানো যায়, তাহলে কাজ হবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলের অপচয় রুখতে ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জলমিটার বসানো হয়েছে এবং দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জল মিটার বসানোর কথা চলছে।