আজ বিশ্ব হাইপার টেনশন দিবস (World Hypertension Day)। উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ১৭ মে বিশ্ব হাইপার টেনশন দিবস পালিত হয়। উচ্চ রক্তচাপ এই সময়ের অন্যতম লাইফস্টাইল ডিজিজ। হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপকে কেন ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়? হাইপার টেনশন কী কী ক্ষতি করে শরীরে? যোগাভ্যাস কীভাবে হাইপার টেনশন কমাতে সাহায্য করে? বিশ্ব হাইপার টেনশন দিবসের বিশেষ পর্বে জানালেন যোগ প্রশিক্ষক নেহা সিং (Neha Singh, Yoga Teacher)
যোগ প্রশিক্ষক নেহা সিং জানিয়েছেন, মাথা ধরা, বুকে ব্যথা, অ্যাংজাইটির মতো সম স্যা হয় শুরুতে। কিন্তু এই সব সমস্যার বীজ লুকিয়ে থাকে লাগামছাড়া জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, ভুলভাবে ঘুমের অভ্যাস, অতিরিক্ত মদ্যপানের মতো বিষয়ে। প্রতিদিনের জীবনে ছোট-বড়-মাঝারি ভুল হয়ে ওঠে উচ্চ রক্তচাপ তথা হাইপার টেনষনের কারণ। হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল হতে পারে। তাই শুরু থেকে সঠিক জীবনযাত্রা মেনে চলায় নজর দিতে হবে। সঠিক সময়ে পরিমিত আহার, সঠিক সময়ে ঘুম চাই। প্যাকেটজাত খাবার, বাইরের খাবার, সিন্থেটিক ফুড, প্রসেসড ফুডের বদলে শাকসবজি, তাজা খাবার খেতে হবে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। হাইপার টেনশনের অন্যতম কারণ স্ট্রেস। বিরতি নিতে হবে। চাপ নিয়ন্ত্রণ শিখতে হবে। অতীতের খারাপ স্মৃতি মানসিক চাপ তৈরী করে, তাই ক্ষমা করতে শিখতে হবে।
যোগাভ্যাস এক ধরনের ওয়ার্কআউট- অনেকেরই এই ধারণা আছে। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। নিয়মিত যোগাভ্যাস শরীর মনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মেডিটেশনে মন স্থির হয়। মানসিক চাপ, অস্থিরতা, নেতিবাচক চিন্তা দূর করে স্থির হয় মন।