ওমিক্রন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারী সারা বিশ্বকে গ্ৰাস করেছে। তার পরে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসের দ্বারা। তবে শুধু সংক্রমণ নয়, এই দুই বছর করোনা বিভিন্ন রূপ নিয়ে ফিরে এসেছে। গত বছর যেমন ডেলটা ভার্সন ছড়িয়ে পড়েছিল সারা পৃথিবীতে। ডেলটার মতোই গত কয়েক মাস ধরে করোনার এক নয়া ভার্সন ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। এই নয়া ভাইরাসের নাম।,ওমিক্রন। সম্প্রতি ইউরোপ ও আফ্রিকাতে বহু মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। আগের ভার্সন গুলির থেকেও দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। ভারতেও বহু মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুতরাং এই রোগ কতটা ক্ষতিকারক? এর উপসর্গ গুলিই বা কী কী?

এই রোগ নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলস্টি ডাঃ অরিন্দম চক্রবর্তী

ডা: চক্রবর্তী বলেছেন, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের যত গুলি প্রজাতি খুঁজে পাওয়া গেছে তার মধ্যে ওমিক্রনই সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়। ২০১৯ সালে করোনার যে প্রজাতির প্রথম খোঁজ পাওয়া গেছিল। তার সাথে মিল রয়েছে ওমিক্রনের। ওমিক্রনের উপসর্গগুলিও সাধারণ করোনা ভাইরাসের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এর প্রধান উপসর্গ গুলি হচ্ছে- জ্বর, গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা ইত্যাদি।

ওমিক্রন বা করোনার এখনও পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়েনি। তবে কিছু রোগীর উপর কয়েকটি ওষুধ  ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সমান ভাবে কাজ করেনি এই ওষুধ গুলি। এছাড়াও ওষুধ গুলিতে বিভিন্ন সাইড এফেক্ট থাকায় সরকারের তরফ থেকে ঐ ওষুধগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এই ভাইরাসের চিকিৎসা করার থেকে আটকানো আরও সহজ কাজ।

তাই এই ভাইরাসকে আটাকে আমাদের কোভিড প্রোটকল মেনে চলতে হবে। এছাড়াও সম্প্রতি চালু হয়েছে বুস্টার ডোজ। এই ডোজ নেওয়াও জরুরি। আগের টিকার সব ডকুমেন্ট দেখিয়ে এই ডোজ নেওয়া যাবে। অন্যদিকে সাধারণ জ্বরের সঙ্গে তফাত আছে ওমিক্রনের। সাধারণত জ্বর হলে সর্দি,কাশি হতে দেখা যায়। ওমিক্রনে এগুলি দেখা যায় না। তবে চার-পাচঁ দিনের বেশি জ্বর থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। তবে অযথা চিন্তার কারণ নেই কোভিড প্রোটকল মেনে চললেই এড়িয়ে চলা যাবে এই রোগ থেকে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...