Workplace Burnout: ওয়ার্কপ্লেসে বার্নআউট কী?

ওয়ার্কপ্লেসে বার্নআউট কী? কী কী কারণে এই সমস্যা হতে পারে? বার্নআউটের লক্ষণ কীভাবে চিনবেন? বার্নআউট প্রতিরোধে কীভাবে সতর্ক হবেন? মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পূর্বিতা সরকার রায় (Dr. Purvita Sarkar Ray, Psychiatrist)

ওয়ার্কপ্লেসে বার্নআউট কী?

বার্নআউট প্রধানত working population –এর মধ্যে দেখা যায়। এই সমস্যার কারণ মূলত ক্রনিক স্ট্রেস।

স্ট্রেস শব্দটিকে অনেকেই নেগেটিভ ইমোশন বলে মনে করেন। কিন্তু আদতে এই শব্দটি দুটি ভাগে বিভক্ত। স্ট্রেস যদি জীবনের কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে সাহায্য করে, তবে তাকে বলা হয় Eustress। অন্যদিকে যদি এটি নেভেটিভ প্রভাব ফেলে জীবনে, যেমন উৎসাহের অভাব বা কাজ করতে অনীহা, তবে সেটিকে বলা হয় Distress।

কাজের জায়গায় যদি কোনো ব্যক্তি এই সমস্যায় ভোগে এবং সে সেই সমস্যার কোনো সমাধান খুঁজে না পায়, তবে সেই সমস্যাকে বলা হয় বার্নআউট।

কী কী কারণে এই সমস্যা হতে পারে?

১। অত্যাধিক কাজের চাপ
২। একঘেয়ে কাজ
৩। অনেকক্ষণ সময় অবধি কাজের চাপ
৪। বুলিং
৫। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ইত্যাদি।

বার্নআউটের লক্ষণ চিনবেন কীভাবে?

এই রোগের ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেমন-

১। ত্বকের সমস্যা
২। চুল পড়ার সমস্যা
৩। ব্লাড প্রেসারের সমস্যা
৪৷ স্ট্রেস আলসার
৫। বডি পেইন
৬। কোলেস্টেরল ইত্যাদি

কোন সময়ে এই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

এই সমস্যার প্রথম ধাপ হল কাজের প্রতি অনীহা। সঠিক ঘুম ও জীবনযাপন করা সত্ত্বেও কাজ করার ইচ্ছে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও, কাজ নিয়ে ডিপ্রেশন, কাজ নিয়ে তিক্ততা ইত্যাদি সমস্যা হলে বুঝতে হবে যে, সেই ব্যক্তি বার্নআউটের সমস্যায় ভুগছে। তখনই এই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এই সমস্যার সমাধান কী?

Individual level-

১। প্রথমে সেই সমস্যা কেন হচ্ছে সেটি চিহ্নিত করতে হবে
২। কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সেই সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে
৩। এ বিষয়ে স্পেশালিস্ট –এর সঙ্গে কথা বলতে হবে
৪। ছুটি বা ব্রেক নিয়ে নিজের বা নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি
৫। ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ

Organizational level-

১। অফিসের কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...