দিনের শেষে ঘুমের দেশে- এ শুধু কথার কথা নয়। ঘুম শরীরের খাবারের মতো। ঠিকমতো ঘুম না হলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে জীবন। তাই নিয়মিত ঘুম খুব জরুরী। ঘুম হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কীভাবে সাহায্য করে? পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের কী ক্ষতি হয়? জানালেন নিউট্রিশনিস্ট রেশমি বিয়ানী (Rashmi Biyani, Nutritionist)
রেশমি বিয়ানী জানিয়েছেন, সঠিক ঘুমের জন্য জরুরী ঘুমের শিডিউল প্যাটার্ন ঠিক করা। প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আর তাড়াতাড়ি ঘুমতে যাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এমনকি সপ্তাহ শেষেও। সঠিক ঘুমের জন্য দরকার সঠিক পরিবেশ। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। ঘুমতে যাওয়ার আগে মোবাইল, ল্যাপটপের মতোডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। অ্যালকোহল, ক্যাফেনও একইরকম ক্ষতিকর। খাদ্য জলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ঘুম। শারীরিক, মানসিক, প্রাক্ষভিক স্বাস্থ্য নির্ভর করে ঘুমের ওপর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হৃদযন্ত্র, ফুসফুসের মত অঙ্গগুলির কার্যকারিতা নির্ভর করে অনেকাংষে ঘুমের ওপর। শিশুদের জন্য ছ’ঘন্টা, টিনএজারদের জন্য ৯ ঘন্টা ঘুম চাই।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আর তাড়াতাড়ি ঘুমতে যাওয়ার অভ্যাস সবচেয়ে ভাল, কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনে সেই অভ্যাসের সুযোগ সকলের সম্ভব হয় না। তবে ঘুমের সময় আর ভাল ঘুমের ওপর আমরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি। কম করে ৮ ঘন্টা ঘুম জরুরী।
প্রতিতিদিন যদি কেউ রাত ৯টায় ঘুমতে যায় তাহলে প্রতিদিন সেই সময়টায় ঘুমের অভ্যাস করে নেওয়া উচিত। ঘুম ভাল নাহলে ভিতর ভিতর ক্লান্ত আর দুর্বল হয়ে পড়ে মানুষ। কিছুদিন পরেই ঘুম কম হওয়ার কারণে কর্মক্ষমতায় টান পড়ে। কাজে মনঃসংযোগের সমস্যা হয়, দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্থ হয় হার্ট। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, অবসাদের সমস্যা তৈরী করে। স্নায়ু ঠিক রাখতে ঘুম দরকার। আসল কথা হল সুস্থ থাকতে ঘুম দরকার। চিকিৎস্করা বলছেন সুস্থ থাকতে ভয় না পেয়ে খোলা মনে ঘুমান।