ডায়াবেটিক (Diabetic) রোগীদের ওজন কমানো জরুরি কেন? ডায়াবেটিক রোগীদের কী কী খাবার খাওয়া উচিত? সঠিক ডায়েট না এক্সারসাইজ - কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান বিজয়া ভট্টাচার্য (Bijoya Bhattacharjee, Clinical Dietician)
হাইলাইটসঃ
১। ডায়াবেটিক রোগীদের ওজন কমানো জরুরি কেন?
২। ডায়াবেটিক রোগীদের কী কী খাবার খাওয়া উচিত?
৩। ডায়াবেটিক পেশেন্টের দিনে কতবার খাবার খাওয়া উচিত?
ডায়াবেটিক রোগীদের ওজন কমানো জরুরি কেন?
ওজন বেড়ে যাওয়া এবং ডায়বেটিস এই দুটি বিষয় একে অপরের সাথে সংযুক্ত। মানবদেহে ফ্যাট বেড়ে গেলে শরীরে ইনসুলিনের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের হার বেড়ে যায়। এটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।
সঠিক ডায়েট না এক্সারসাইজ - কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
ডায়াবেটিস রোগে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। সেটি বাড়াতে সাহায্য করে এক্সারসাইজ। অন্যদিকে সঠিক ডায়েট মেনে না চললে এক্সারসাইজ করার এনার্জির ঘাটতি হবে। সেকারণে এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ডায়েট এবং এক্সারসাইজ দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিক রোগীরা খালি পেটে থাকলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে রক্তের ইনসুলিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিসের ওষুধ খাবার ফলে ইনসুলিন রক্ত থেকে গ্লুকোজ নিয়ে শরীরের কোষে পাঠিয়ে দেয়, ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। কিন্ত কিছু না খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটে না। সেই সময় যদি কেউ কোন খাবার না খেয়ে ডায়াবেটিসের ওষুধ খান, তবে রক্তে যে স্বল্প পরিমাণ গ্লুকোজ ছিল তা শরীরের কোষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কমে যায়। এটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক৷
ডায়াবেটিক রোগীদের সুগার কমে গেলে কী করা উচিত?
এই রোগের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীদের প্রথমে উচিত ব্লাড টেস্ট করা। যদি রক্তে সুগারের পরিমাণ অনেক কমে যায়, তাহলে লজেন্স, চিনি বা ক্যান্ডি খেয়ে নিলে রোগী সুস্থ বোধ করবেন।
এছাড়াও এই সমস্যা থেকে মুক্তির আরেকটি উপায় রয়েছে। অনেকেই ফল খেতে খুব পছন্দ করেন। ফলের মধ্যে যে সুগার থাকে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা যদি প্রত্যহ ফল খান, তবে ন্যাচারাল সুগার রক্তে মজুত থাকবে। এই কারণে হঠাৎ করে সুগার ফল করবেনা।
ডায়াবেটিক রোগীদের কী কী খাবার খাওয়া উচিত?
ডায়াবেটিক রোগীরা নিজের ডায়েটে সমস্ত ধরনের খাবার খেতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের তুলনায় এই রোগীদের খাদ্যাভ্যাস আলাদা হওয়ার একটি মূল বিষয় হল, তাদেরকে সেই একই খাবার অন্যভাবে খেতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সাধারণ মানুষ যদি চিনি খান তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সে চিনির বিপরীতে ব্যবহৃত হবে ফলের রস।
এছাড়াও একটি সম্পূর্ণ ডায়েট প্ল্যান হিসেবে বলা যায়, সম্পূর্ণ খাবারের অর্ধেক শতাংশ সবজি এবং ফল হতে হবে, যা আমাদের দেহে ফাইবার সরবরাহ করবে। বাকি এক চতুর্থাংশ হতে হবে প্রোটিন ও সমান পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকতে হবে।
ডায়াবেটিক পেশেন্টের দিনে কতবার খাবার খাওয়া উচিত?
সাধারণ মানুষের মতোই ডায়াবেটিক পেশেন্টরা দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার খাবার খেতে পারেন। তবে প্রত্যেক খাবারের আগে আমন্ড বাদাম খেয়ে নিলে তা শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।
এই অসুখে কী মাটির নীচের সবজি খাওয়া উচিত?
অন্য সবজির সাথে মিশিয়ে খেলে এই রোগে মাটির নিজের সবজি খাওয়া যেতে পারে।