ফুসফুসের ক্যান্সার কেন হয়?

বর্তমানে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। পুরুষদের মধ্যেই ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ধূমপান ছাড়াও বায়ুতে বিভিন্ন ধরনের ধাতব কণা রয়েছে যেগুলি নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে। এর ফলেও ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। কিন্তু পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি কেন? ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে কী কী উপসর্গ দেখা যায়?

ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন চিকিৎসক ডাঃ অনিমেষ সাহা

চিকিৎসক ডাঃ অনিমেষ সাহা বলেছেন, সাধারণত ধূমপানের কারণেই ফুসফুসের ক্যান্সার বাড়ছে খুব দ্রুত হারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ধাতুর কণা রয়েছে যেগুলি আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করছে। এর ফলেও ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা দেয়। জিনগত কারণেও এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফুসফুসের ক্যান্সারকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হল স্মল সেল আর অন্যটি হল নন স্মল সেল। এই দুই ধরনের ক্যান্সারের উপসর্গগুলি সম্পূর্ণ আলাদা। স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সার একটু বেশি অ্যাগ্ৰেসিভ। খুব দ্রুত এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে মানুষের দেহে। তবে 'কেমোথেরাপি''রেডিয়ো থেরাপি'র মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে নন স্মল সেল ক্যান্সার বেশি অ্যাগ্ৰেসিভ নয়।

 

Dr.AnimeshSaha1

 

যে কোনো ক্যান্সার প্রথম স্টেজে ধরা পড়লে তার চিকিৎসা করা আরও সহজ হয় যায়। তাই মানব দেহের ক্যান্সার আছে কিনা তা জানার জন্য স্কিনিং করা যায়। তবে ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে স্কিনিং প্রয়োগ এখনও শুরু হয়নি। তাই প্রথম স্টেজে এই ক্যান্সার ধরা পড়া একটু কঠিন। ফুসফুসের ক্যান্সার যখন ছড়িয়ে পড়ে তখনই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গগুলি দেখতে পাওয়া যায়।

এই রোগে আক্রান্ত হলে কাশি, ফুসফুসে ইনফেকশন, বুকে ব্যথা ও গলার শিরা-উপশিরা ও হাত,পা ফুলে ওঠে। এছাড়াও রক্তে লবণ বা সোডিয়ামের অভাব দেখতে পাওয়া যায়।

সাধারণত বায়োপসি, সিটি স্কান ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়তে পারে। তবে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। যেমন- দ্বিতীয় স্টেজ ও তৃতীয় স্টেজের রোগীদের অস্ত্রপচার করা সম্ভব। তবে প্রথম স্টেজের রোগীদের 'রেডিয়ো থেরাপি', 'রেডিয়ো ফ্রিকুয়েন্সি' এছাড়াও অস্ত্রপচার করা হয় অনেক ক্ষেত্রে।

বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যেই ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হল ধূমপান। যেহেতু মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি তাই পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তে সংখ্যা বেশি।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...