বাইপাস সার্জারি কেন করা হয়?

অনেক সময় হার্টের সঙ্গে যুক্ত কোনও ধমনিতে ব্লকেজ তৈরি হয়। একেই বলে হার্ট ব্লকেজ। আর এই হার্ট ব্লকেজ থেকে নিস্তার দিতেই বাইপাস সার্জারি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হার্ট ব্লকেজ হলে হার্টে রক্ত পৌঁছতে বিভিন্ন সমস্যা হয়। তাই বাইপাস সার্জারি মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে ধমনি নিয়ে ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া। এই বাইপাস সার্জারি সম্পর্কে জানালেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক মুখোপাধ্যায়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক মুখোপাধ্যায়, বাইপাস সার্জারির উদ্দেশ্য হল যাদের করোনারি আর্টারি ব্লকেজ রয়েছে এমন রোগীদের হার্টে রক্ত পৌঁছে দেওয়া। যেহেতু রক্ত পৌঁছে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ব্লকেজ হলে তাই এই সার্জারির মাধ্যমে রোগীর শরীরে একটি ধমনি কৃত্রিম উপায়ে জুড়ে দেওয়া হয় তার ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনির সঙ্গে সামনে। মানুষের শরীরে দুটি ধমনি থাকে তার মধ্যে যে কোনও একটি জুড়ে দেওয়া যায় ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনির সঙ্গে। তবে এই সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু করার আগে চিকিৎসক পরামর্শ দেবেন পরীক্ষা করে নিতে হবে ব্লকেজ আছে কিনা সেটা জানার জন্য। ব্লকেজের একটা পার্সেন্টেজ রয়েছে। আর যদি সেই পার্সেন্টেজ ৭০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে সার্জারি করতে হবে।

বাইপাস সার্জারির আগে তাদের বুকে ব্যথা করে, এছাড়াও কোনও কাজ করার আগে শ্বাস কষ্ট হবে। বর্তমান সময় বাইপাস সার্জারির ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কাও অনেক কমে গিয়েছে। সার্জারি পর রোগী ১৫ দিনের মধ্যে আবার নরম্যাল লাইফে ফিরে আসতে পারে। রোগীর ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও সমস্যা থাকলেও এখন বাইপাস সার্জারি করা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে বাইপাস সার্জারি সম্ভবনা রয়েছে বেশি। বিশেষ করে যে মহিলাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা পুরুষদের চেয়েও বেশি। সার্জারির পর শরীরচর্চা ও হাঁটা চলা করা উচিত। তাহলেই হার্ট ঠিক থাকবে।

হার্ট সমস্যা এড়িয়ে চলতে গেলে ধূমপান করা যাবে না, বেশি হাঁটাচলা করতে হবে, তবে অনেক সময় বংশপরম্পরায় হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওবিসিটি, মানসিক চাপের ফলেও হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...