রাগ কমানোর উপায় কী?

নিউরো সাইকিয়াট্রিস্ট  ডাঃ অর্ণব পাঠক বলেছেন, আসলে রাগ হল একটা নরম্যাল  ইমোশন। আমাদের সব ইমোশনগুলো আমাদের ব্রেনের অ্যামিকডালা থেকে উদ্ভব হয়ে। ব্রেনের এই অংশ থেকেই কিছু হরমোন বেরোয় এর থেকেই আমাদের মধ্যে রাগ আসে। রাগ দু-ধরনের হয়। প্রথম, কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের জন্মের সময় থেকেই খুব তাড়াতাড়ি রেগে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়, অনেক মানুষ আছেন যারা চান সব সময় নিজেদের প্রধান্য তৈরি করতে। আর সেটা না করতে পারলে রাগ বেড়ে যায় সেই ব্যক্তির। আবার অনেক ক্ষেত্রে রাগ অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশনের ফলেও হতে পারে। তাই ছোটবেলা থেকেই অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুদের উপর।

রেগে যাওয়ার ফলে আমাদের শরীরেও কিছু পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। যেমন- মুখ লাল হয়ে যায়, পালস রেট খুব বেড়ে যায়, হার্ট বিট বেড়ে যায়, হাড়ের জয়েন্টগুলো খুব টাইট হয়ে যায়। ব্যবহারেও বদল ঘটে যেমন- সে হয়তো রেগে উত্তেজিত হয়ে কথা বলছে, নিজের সঙ্গে নিজেই কথা বলবে। এই জিনিসগুলো হওয়া মানে আমাদের বুঝতে হবে আমরা রেগে যাচ্ছি। এর ফলে আমাদের প্রেসার বেড়ে যায়। এছাড়াও সেল ডেড হয়। এই লক্ষণগুলো দেখা গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন- কোনও বিবাদে জড়িয়ে পড়ার ফলে যদি আমাদের রাগ হয় তাহলে সেই মুহূর্তে সেই বিবাদ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের বন্ধু বা আপনজনের কাছ থেকে অ্যাডভাইস নিতে হবে। এছাড়াও শরীরচর্চা করতে হবে ও ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে।

মায়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় নিজের মানসিক চাপ ও রাগ বেড়ে যাওয়ায় তারা শিশুদের উপরেও এর প্রভাব পরে‌। কারণের মায়ের সব রাগ গিয়ে পড়ে শিশুদের উপর। তাই নিজে থেকেই রাগ যাতে না হয় সেই বিষয়ে দেখতে হবে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...