প্লাস্টিক সার্জারি করলে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে?

আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্যতম বড় আবিষ্কার হচ্ছে প্লাস্টিক সার্জারি। চিকিৎসা শাস্ত্রের এই যুগান্তকারী পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের হারিয়ে যাওয়া রূপ আবার ফিরে পাওয়া যায়। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে ত্বক, পেশী, ক্র্যানিও-ম্যাক্সিলোফেসিয়াল, হাত, প্রান্ত, স্তন এবং অন্যান্য অঙ্গের পুনর্গঠন বা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। তবে ফেসিয়াল প্লাস্টিক সার্জারি ও কসমেটিক প্লাস্টিক সার্জারির মধ্যে পার্থক্য কী? প্লাস্টিক সার্জারি করার কী কোনও বয়স সীমা আছে? প্লাস্টিক সার্জারি করার পর নিজের রূপ ফিরে পেতে কত সময় লাগে?

এই সব বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ অরিন্দম সরকার।

ডাঃ অরিন্দম সরকারের মতে, প্লাস্টিক সার্জারি দু’ধরনের হয়। একটি হল ফেসিয়াল প্লাস্টিক সার্জারি ও দ্বিতীয়টি কসমেটিক প্লাস্টিক সার্জারি। তবে কসমেটিক প্লাস্টিক সার্জারির করতে আসেন তাঁরাই যাদের শরীরে অন্য কোনও ধরনের সমস্যা নেই। কিন্তু ফেসিয়াল প্লাস্টিক সার্জারি সব ধরনের মানুষই করতে পারেন। মানুষের চেনা ধারণা, যে প্লাস্টিক সার্জারিতে মুখের কাটা দাগ বা অন্য কোনও পোড়া দাগ সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যায়। তবে এই ধারণা নয়। কিছুটা ফল পাওয়া গেলেও সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যাওয়া যায় না।

জন্মগত দাগ থাকলে তা লেজার থেরাপির মাধ্যমে তোলা যায়। তবে অনেক সময় সার্জারিও করা হয়। প্লাস্টিক সার্জারির সময় ব্যথা হয় না। এছাড়া এই ধরনের সার্জারি করতে বেশি সময় লাগে না। এই সার্জারি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেই করতে হয়ে। তবে অনেক সময় কম বয়সী কারুর খুব সমস্যা দেখা দিলে তখন তাদের করা হয়। একজন রোগীর অপারেশন করতে ১ ঘন্টার বেশি সময় লাগে। তবে লেজার থেরাপি করলে ২ মাস পর পর করতে হয়ে। কিন্তু এই সার্জারি করলে জীবনযাপনে কোনও পরিবর্তন হয় না।

কসমেটিক সার্জারি আজকাল অনেকেই করাচ্ছেন। তবে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহারের পর ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সব ক্রিম না ব্যবহার করাই ভালো।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...