মানসিক চাপ কমাতে জীবনযাপনে কী পরিবর্তন আসতে হবে?

কাজের চাপ বা অন্য অনেক কারণে মানসিক চাপ বাড়ে। আর মানসিক চাপ বাড়লে শরীরেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- ডায়বেটিক, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, গ্যাসের সমস্যা, কনস্টিপেশনে। তাই মানসিক চাপ কমানো খুবই জরুরি। মানসিক চাপ কমানোর উপায় জানিয়েছেন চিকিৎসক অঙ্কুর বড়ুয়া।

চিকিৎসক অঙ্কুর বড়ুয়া বলেছেন, স্ট্রেস বা মানসিক চাপের দরকার রয়েছে। কারণ মানসিক চাপ না থাকলে মানুষের কাজ করার ইচ্ছাই চলে যাবে। কিন্তু অনেক সময় এই মানসিক চাপটা নিতে না পারলে মানুষের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ব্যাপারটা খুবই রিলেটেভেল ও পার্সোনাল। তাই একজন মানুষের যেটা মানসিক চাপ মনে হবে অন্য জনের সেটা মানসিক চাপ মনেই হবে না। তাই এই সমস্যা বোঝা যায় না। যে জন্য ছোটবেলা থেকেই শিশুদের প্রস্তুত করতে হবে যাতে তারা এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। শিশুদের স্বাধীন ভাবে ভাবনা চিন্তা করার সুযোগ দিতে হবে। বর্তমান সময় চাকরির না পাওয়াটা একটা অনেক বড় সমস্যা হয় দাঁড়িয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির জন্যে গত আড়াই বছর ওয়ার্কফর্ম হোম করতে হয়েছে সবাইকে। আর এই ওয়ার্কফর্ম হোমে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যার ফলে মানসিক চাপ আরও বেড়েছে। মানসিক চাপ বাড়লে ডায়বেটিক, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, গ্যাসের সমস্যা, কনস্টিপেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে মানসিক চাপ থাকলে আগেই সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যেতে হবে না। প্রথমে পরিবারের সদস্য বা কোনও বন্ধুর থেকে সাজেশন নেওয়া যেতে পারে।

তবে যখন দেখা যাবে সাইকোসিসের পর্যায় চলে গিয়েছে অর্থাৎ হ্যালোসিলিউসন কিংবা অ্যাডিকশান চলে এসেছে যেটা সাধারণত আর ম্যানেজ করা যাবে না। সেই লেভেল থেকে সাইকিয়াট্রিস্টকে ইনভল্ব করা উচিত। কাউন্সিলিংও করা যেতে পারে। আমাদের যে ছোটবেলার যে শখগুলো ছিল যেমন আঁকা, গান, নাচ। এই গুলিকে জীবনে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। তার জন্যেই সময় বাড় করতে হবে। আমারা যখন ক্রিয়েটিভ কিছু করছি বা নতুন কিছু শিখছি তখন সেই টাইমটাই শুধু আমাকে দিচ্ছি। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়তে দেখা যায়। তাই লাইফস্টাইল মডিফিকেশন করতে হবে, মেডিটেশন ও যোগা করতে হবে। এই সব কিছু করলে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসকে আমরা অনেকটা ব্যালেন্স করতে পারি। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে নিজের শরীর ও শিশুর শরীর নিয়ে একটা চাপ থাকে। যার ফলে প্রেসার বেড়ে যেতে পারে ও ব্লিডিং হতে পারে। এছাড়াও স্পনটেনিয়াস অ্যাবোশান হতে, অ্যান্টিপাটাল হ্যামারেজ হতে পারে কিংবা প্রিটাম ডেলিভারি হতে পারে। অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে চায় না। আসলে কোনও জিনিস নিয়ে চিন্তা বেশি করলেই ঘুম আসতে চায় না। তাই চিন্তামুক্ত হতে হবে। তাহলেই ঘুম আসবে। এছাড়াও সময় মতো ডিনার করতে হবে ও ঘুমাতে হবে। তবে প্রনায়ম ও আলাপনটা খুবই দরকার। ঘুমনোর আগে বা ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রনায়ম ও আলাপন করতে হবে। আর দিনের হেভি মিলটা ব্রেকফাস্টের সময় খেতে হবে ও লাঞ্চ আর ডিনারের যতটা সম্ভব কম খাবার খেতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...