প্রেগন্যান্সি ছাড়া আর কোন কোন কারণে পিরিয়ড মিস হতে পারে? স্ট্রেস কি মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে প্রভাব ফেলতে পারে? অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি সম্ভব? জরুরি পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাঃ পল্লব রায় (Dr. Pallab Roy Gynecologist)
ডাঃ পল্লব রায় জানিয়েছেন, একজন মহিলা যার আগে নিয়মিত পিরিয়ড হত কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার প্রাথমিক কারণ মনে করা হয় প্রেগনেন্সি। কিন্তু যদি দেখা যায় যে প্রেগনেন্সি আসেনি তাহলে বুঝতে হবে একাধিক অন্য কারণ আছে যার জন্য মাসিক ঋতুচক্রে বাধা পড়েছে। জরায়ু, হরমোনজনিত, বা অন্য শারীরিক কোনও কারণ লুকিয়ে আছে। পিসিওএস-ও এখন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে উঠেছে। মেনোপজের কারণেও পিরিয়ডে ছেদ পড়ে। স্ট্রেসের কারণেও অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিনের কারণেও হতে পারে। পিসিওসএস মেটাবলিক ডিস্অর্ডার। জীবনযাত্রার কারণে শুরু হয়। ডায়েট ও এক্সারসাইজে সেরে যায়। এই সমস্যা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
কোনও মহিলা যদি হঠাৎ খুব স্ট্রেসের মধ্যে যান তাহলে বডি তার মেন্সট্রুয়াল সিস্টেমকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। মেনোপজ সব মহিলার জীবনেই আসে। ৪৫-৫০ বছর বয়সী মহিলাদের হঠাৎ এক বছরের জন্য পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে তাদেরমনোপজ বলে ধরা হয়।
সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ও নিয়মিত চিকিৎসায় এই সব সমস্যার সহজ সমাধান মেলে।