ডার্মাটোমায়োসাইটিসের প্রধান লক্ষণগুলি কী কী?

ডার্মাটোমায়োসাইটিস কী? এই রোগের প্রধান লক্ষণগুলি কী কী? কেন হয় এই রোগ? এই রোগ সংক্রামক ও জিনগত? কীভাবে সতর্ক হবেন? বিস্তারিত জানালেন বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শচীন ভার্মা (Dr Sachin Varma, Dermatologist)

মাত্র ১৯ বছর বয়সে ডার্মাটোমায়োসাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত অভিনেত্রী সুহানি ভাটনগর।চিকিৎসকরাজানিয়েছিলেন ডার্মাটোমায়োসাইটিস এক বিরল গোত্রের রোগ।

ডার্মাটোমায়োসাইটিস রোগটি সম্পর্কে বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শচীন ভার্মা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত বিরল একটি প্রদাহজনিত অটোইমিউন রোগ। নিজের শরীর নিজের টিস্যুকে রিজেক্ট করছে। তার ফলে দুই অঙ্গের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ দেখা যায়। ডার্মাটো মানে ত্বক আর মায়োসাইটিস মানে পেশী। ই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। দুই বয়সের মানুষের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ৫-১৫ বছরের শিশু ও কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আর চল্লিশোর্ধ মানুষের মধ্যে। শিশুদের মধ্যে এই রোগ চিহ্নিত করা একটু শক্ত। কিন্তু সঠিক চিকিৎসায় পুরোপুরি সেরে যায়। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধ খেতে হবে। বয়স্কদের এই রোগ দেখা দিলে যদি সময়মতো ধরা পড়ে তাহলেও এই রোগ সেরে যায়। কিন্তু রোগের লক্ষণকে এড়িয়ে গেলে, শারীরিক সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে তখন তা জটিল হয়ে পড়ে। দেরীতে ডায়গনিসিস হলেই বিপদ। চোখ, মুখ, ত্বকের রং নীল হয়ে যায়। রোদ লাগলে লালচে। আঙুলে ৱ্যাশ দেখা যায়। মাংস পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রক্সিম্যাল মাসল উইকনেস দেখা দেয়, ভারী জিনিস তুলতে অসুবিধা হয়। এই লক্ষণ এড়িয়ে গেলে রোগের ঘাত বেড়ে যায়। পেশীর সমস্যা ১ মাসের বেশি স্থায়ী হলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ত্বক ও পেশীর সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিলেও সতর্ক হন। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...