প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার কী?

প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন পুরুষরা। প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের ক্ষতিকারক কোষগুলি বৃদ্ধি পেয়ে পিন্ডে পরিণত হওয়াকেই প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার বলা হয়। প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হয় প্যানক্রিয়াসের এক্সোক্রিন বা এন্ডোক্রিনের মধ্যে। এই ধরনের ক্যান্সার খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে শরীরের অন্য অঙ্গে। তাই দ্রুত এই রোগের চিকিৎসা শুরু করতে হয়। তবে যেহেতু এর উপসর্গ গুলি খুব সহজেই বুঝতে পারা যায়, সেই কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে যায় রোগ।

অনেক সময় এই রোগ থেকে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির। পুরুষদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাটা খুবই বেশি। তুলনায় মহিলা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। অনেক ক্ষেত্রে অত্যাধিক ধূমপান, তামাকজাত ও মাদকদ্রব্যের সেবন করার ফলে এই রোগ দেখা দিতে পারে।

তাহলে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের উপসর্গগুলি কী কী? এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

এই রোগ নিয়ে বিশদে জানালেন ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেন

ডা: শুদ্ধসত্ত্ব সেনের মতে, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হল একধরনের ‘ব্যথাহীন জন্ডিস’। এই সময় চোখের রঙ হলুদ হয়ে যাবে, ওজন কমতে শুরু করবে ও খিদে কমে যাবে। তারপর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাবে ও প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে। এর মানে পিত্তনালিটি ইনফেকশনের ফলে ব্লক হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও খাদ্যনালি ব্লক হয়ে গিয়ে বমি হতে পারে। এই ধরনের ক্যান্সার হলে পেটে জল জমতে পারে। তবে যদি অগ্নাশয়ের লেজের দিকে ক্যান্সার হয়ে সেটি সাধারণত ধরা পড়ে না। এই ক্যান্সার হলে ব্যথা হয় কিন্তু জন্ডিস হয় না।

শরীরে এই রোগ আছে কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই অবশ্যই ব্লাড টেস্ট ও ব্লাভ মারকারি টেস্ট করতে হবে। এই টেস্টে সিএ ৯৯- পরিমাণ বেড়ে গেলে বুঝতে হবে যে ক্যান্সার বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও সিটি স্ক্যান, টিআরসিপি,এনড্রো আল্ট্রাসাউন্ড, পেট সিটি স্ক্যান করলে এই রোগ আছে কিনা বুঝতে পারা যায়।

রোগ এড়িয়ে চলতে গেলে পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে, সাধারণ খাবার খেতে হবে, শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করতে হবে ও চিন্তামুক্ত হয়ে থাকতে হবে। এছাড়াও ধূমপান ও মাদকদ্রব্য সেবন করা বন্ধ। এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে অস্ত্রপচার অথবা কেমোথেরাপির পরেই ঐ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...