চোখে রেটিনাল ডিটাচমেন্টের সমস্যায় বুঝবেন কীভাবে?

আমাদের চোখে আলোক সংবেদনশীল দেওয়াল হল রেটিনা। টিস্যুর পাতলা স্তর রেটিনা ক্যামেরার ফিল্মের মতো কাজ করে, ফটোরেসেপ্টরের মাধ্যমে চিত্রটি ক্যাপচার করে। রেটিনাল ডিটাচমেন্ট চোখের বিপজ্জনক অসুখগুলির মধ্যে অন্যতম। কী এই অসুখ? কীভাবে চিনবেন রোগের লক্ষণ, সে সম্পর্কে জানালেন অপথালমোলজিস্ট ডাঃ সায়ন্তন ঘোষ।

ডাঃ সায়ন্তন ঘোষ জানিয়েছেন, আগেকার দিনে টিভিতে সামনে কাচ থাকত আর পিছনে টিভির পিকচার টিউব, আমাদের চোখের সেই পিকচাত টিউব হল রেটিনা। একটি কোটের ওপর এটি একটি নিউরন লেয়ার। রেটিনাল পিগমেন্ট এপিথেলিয়াম থেকে নিউরোসেন্সরি রেটিনা আলাদা হয়ে যায়। দুটি লেয়ারের মাঝে জল জমে। এটাই রেটিনাল ডিটাচমেন্ট।

হঠাৎ অন্ধকার দেখা, চোখের এদিক থেকে ওদিক বিদ্যুৎ ঝলক, চোখের সামনে হঠাৎ কালো পর্দা, দৃষ্টি বিভ্রম-এসবই রেটিনাল ডিটাচমেন্টের প্রাথমিক লক্ষণ।

অনেকের রেটিনাল ডিটাচমেন্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে, ডায়াবেটিস, চোখে গুরুতর আঘাতের কারণেও এই রোগ হতে পারে।

মায়োপিয়া, যাদের নেগেটিভ পাওয়ার আছে তাদের নিয়মিত রেটিনা স্ক্রিনিং করা উচিত । ডায়েবেটিস রোগী হলে ৩ মাস অন্তর রেটিনা ফলো আপ দরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা ধরা পড়লে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সহজ হয়।

রেটিনা ডিটাচমেন্ট মূলত সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট। সমস্যা নির্মূল করার জন্য নানা ধরনের সার্জারির সুযোগ রয়েছে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...