মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে কী কী করা উচিত?

মানসিক স্বাস্থ্য বা মেন্টাল হেলথ আসলে কী? মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে কী কী করা উচিত? মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন কাউন্সিলর অনিন্দিতা বর্মন।

স্বাস্থ্য মানে আমরা জানতাম যে স্বাস্থ্য মানেই শরীর। আস্তে আস্তে বোঝা গেল স্বাস্থ্য মানে একটা মানুষের একটা পরিপূরক দিক নিয়ে হয় স্বাস্থ্য। তার মধ্যে সর্বাগ্রে থাকে শরীর। তারপর থাকে শারীরিক, তারপর থাকে মানসিক- সামাজিক। সব কিছু মিলে হয় স্বাস্থ্য। শারীরিকের দেখভাল আমরা শুরু থেকেই করে আসছি। এই শারীরিকটা অনেকটাই যুক্ত মানসিকের সঙ্গে।  মানসিকভাবে কেউ খারাপ থাকলে মানসিকেও প্রভাব পড়ে।

একটা সময় সঠিক সচেতনার ওভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সেভাবে গুরুত্ব পেত না। কোনও সমস্যা হল মানেই সে পাগল এবং সেটা চেপে রাখার একটা প্রবণতা দেখা যেত। এভাবে মানসিক অবসাদকে বছরের পর বছর চেপে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে আজ সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বুঝেছি যে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমান জরুরি। এক কথায় মানসিক স্বাস্থ্য কী?

উত্তরে  বলা যায়, মানসিক চিন্তা বা দুশ্চিন্তা সকলের থাকে কিন্তু সেই দুশ্চিন্তা যখন স্বাভাবিক জীবনযাপনকে প্রভাবিত করে সেটাকে তখন অসুখের পর্যায়ে গণ্য করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে প্রথমেই যেটা খুব বেশি দেখা যায় সেটা হল আচরণগত পরিবর্তন। অনেক সময় জিন থেকে হয়। পরিবেশের কারণেও অনেক মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। শৈশবের পারিপার্শ্বিক ঘটনার প্রভাবে অনেকের মানসিক সমস্যা দেখা যায়। এই সবের কারণে আচরণের পরিবর্তন দেখা যায়, আক্রমণাত্মক হয়ে যায়, নিজেকে চেপে রাখে, আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। লাইফ স্টাইল এই সমস্যায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। শিশুদের মধ্যে মানসিক সমস্যা প্রভাব ফেলছে ল। দেখা দিচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এখানে পেরেন্টিং-এর দায়িত্ব কম নয়। বেশিরভাগ শিশু একমাত্র সন্তান।  বাবামার কাছে যা চাইছে তাই পেয়ে যাচ্ছে, সেটাই হয়ে যাচ্ছে লাইফস্টাইল। অপেক্ষা করতে শিখছে না। বদলে গিয়েছে জীবন যাত্রা। তারা 'না' শুনতে নারাজ। সেই 'না'এর মুখোমুখি হলেই মানসিক ধাক্কা লাগছে। তাই মা বাবার সচেতন হওয়া উচিত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...