সৌন্দর্য মানেই শুধু রূপ বা গায়ের রঙ নয়। এর সাথে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফিটনেস। ফিটনেসের নানান দিক নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা অনিন্দ্য ব্যানার্জি...
হাইলাইটস:
১। ফিটনেস বলতে কী বোঝায়?
২। শরীর ফিট রাখতে গেলে কী কী খাওয়া বাদ দিতে হবে?
৩। লীন থাকার অর্থই কি ফিট থাকা?
ফিটনেস বলতে কী বোঝায়?
শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খুব প্রয়োজনীয়।
প্রথমটি, খাদ্যাভ্যাস। অর্থাৎ সারা দিনে কতটা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ, মাংস ইত্যাদি খাওয়া উচিত। অত্যাধিক ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। মাংস সপ্তাহে একবার এবং বিভিন্ন ধরনের স্যালাড, সুপ জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এমনকি জলও খুব মেপে খাওয়া দরকার। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখেও এই ধরনের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার বানানো শেখা যায়।
দ্বিতীয়টি হল, ব্যায়াম বা শরীরচর্চা। এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো অভ্যাস হলো যোগা এবং প্রাণায়াম। এটি আমাদেরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তবে সব থেকে প্রয়োজনীয় হল, যা অভ্যাসই আয়ত্ত করার চেষ্টা করবে তা খুব দৃঢ়তার সাথে গড়ে তুলতে হবে।
শরীর ফিট রাখতে গেলে কী কী খাওয়া বাদ দিতে হবে?
তেল, চিনি এবং নুন, এই তিনটে জিনিস বাদ দিতে হবে নিত্যদিনের খাবারের থেকে। কারণ, এই প্রত্যেকটা জিনিসই প্রিজারভেটিভ। অর্থাৎ যেকোন জিনিস স্টোর করে রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় সুতরাং সেটা খুব ক্ষতিকারক শরীরের পক্ষে।
লীন থাকার অর্থই কি ফিট থাকা?
সব সময় লীন থাকা মানেই শরীর ফিট নয়। কারোর যদি ছিপছিপে চেহারা থাকে তার অর্থ এটা নয় যে সে খুব স্ট্রং এবং তার শরীর ফিট। এবিষয়ে মানসিক ও শারীরিক উভয় সুস্থতাই প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, লীন হয়ে সেটাকে বজায় রাখতে গেলে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। তার মধ্যে সারাদিনে কতটা ঘুমানো হচ্ছে সেটাও নির্ভর করে।
ফিট শরীর বজায় রাখা যায় কীভাবে?
প্রথমেই নিজেকে ভালোবাসতে হবে। শরীরকে ফিট রাখার ক্ষেত্রে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রতিদিন শরীরচর্চা করার সময় নিজেকেই বার করতে হবে। একটা ফোকাস মাইন্ডসেট রাখতে হবে। নিজেকে অজুহাত দেওয়া বন্ধ করে ফিটনেস এর প্রতি আসক্ত হওয়া জরুরি। প্রথমে আমাদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে, তারপরেই আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারব।