ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সাত-সতেরো

‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ শব্দটি শুনলেই অনেকেই ভয় পাবেন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ হল এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে সব ধরনের রোগের চিকিৎসা সম্ভব। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সম্বন্ধে নানা রকম মেলানো-মেশানো ধারনা আছে মানুষের। ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন চিকিৎসক ডাঃ দেবরাজ দে পুরকায়স্থ।

ডাঃ দেবরাজ দে পুরকায়স্থ বলেছে

ন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের আন্ডারে অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসা করা হয়। রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি যখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়, তখন সেই রোগীকে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যান্ডারে চিকিৎসা করা হয়। টারসিয়ারী কেয়ার হসপিটালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সুবিধা দেওয়া সম্ভব। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই এই ধরনের চিকিৎসা করা সম্ভব। যে রোগীরা এই ধরনের সুবিধা পান না তাদের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে যার মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা করা যায়।

কোভিড পরিস্থিতির সময় অনেকেই ভেন্টিলেশনে দিয়েও শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করা যায়নি। কিন্তু এগমো নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি কমানো গিয়েছে। এই মেশিন ২০-৩০ শতাংশ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এছাড়াও সিভিয়ার নিউমোনিয়া রোগীরাও ভেন্টিলেশনে যাওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ারে বেড ছাড়াও জীবনদায়ী ওষুধ ব্যবহার করা হয় ও বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করাতে হয়। তাই খরচ অনেক বেড়ে যায়। এই কারণে রোগীকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তাহলেই খরচটা কম হবে।

সব সময় রোগ হওয়ার আগে ভাবতে কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। যেমন- করোনার টিকা রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবেই নিউমোনিয়া জাতীয় রোগেরও  টিকা রয়েছে। তাই আগেই যদি টিকা নিয়ে নেওয়া যায় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও সেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। সঠিক ডায়েট মেনটেইন করতে হবে। এছাড়াও ডিপ্রেশন ও অ্যাডিকশন প্রিভেন্ট করতে হবে। তাহলেই শরীর সুস্থ থাকবে আর যার ফলে ক্রিটিক্যাল কেয়ারেও প্রয়োজন হবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...