ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ কীভাবে করবেন?

দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ম্যালেরিয়াকে আজও ভয় পায় মানুষ। ম্যালেরিয়া ভোগালেও সঠিক চিকিৎসায় সেরে যায়। আছে একাধিক ওষুধ-প্রতিষেধক। তবে ম্যালেরিয়াকে দূর্বল ভাবা ঠিক নয়। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ঢিলেঢালা মানসিকতাই বিপদ ডেকে আনে। শুধুমাত্র এই মানসিকতার কারণে আজও বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।

ম্যালেরিয়া সাধারণত চার ধরনের হয়। ১) ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া, ২) ম্যালেরি ম্যালেরিয়া, ৩) ফ্যালসিপেরাম, ৪) ওভেল। আমাদের দেশে ভাইভ্যাক্সফ্যালসিপেরাম-এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। কোনও ব্যক্তি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রায় আট দিন পর তার উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়। কিন্তু ম্যালেরিয়ার উপসর্গগুলি কী কী? ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?

ম্যালেরিয়া নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন চিকিৎসক ডাঃ শঙ্কর নাথ ঝা

 

DRSANKARNATHJHA1

 

চিকিৎসক ডাঃ শঙ্করনাথ ঝা বলেছেন, ম্যালেরিয়া হল একটি মশা বাহিত অসুখ। দেশে বহুকাল থেকেই এই রোগের প্রকোপ রয়েছে। এখনও এই রোগে বহু মানুষ আক্রান্ত হন। ম্যালেরিয়া চার ধরনের ১) ভাইভ্যাক্স, ২) ম্যালেরি, ৩)ফ্যালসিপেরাম, ৪) ওভেল। যার মধ্যে ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া, ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ার প্রকোপই বেশি ভারতে। তবে এই দুই ধরনের ম্যালেরিয়ার মধ্যে ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ম্যালেরিয়ার বাহক হল ফিমেল এনোফিলেক্স মশকিউটো। বিশেষ করে বর্ষাকালের পর এই মশা বংশবৃদ্ধি করা শুরু করে। তাই এই সময় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে।

ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল জ্বর। তাই জ্বর আসলে অবশ্যই একবার ম্যালেরিয়ার টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। এছাড়াও ম্যালেরিয়া প্রকোপ কমাতে মশার বংশবৃদ্ধি আটকাতে হবে। এর জন্যে জল জমতে দেওয়া যাবে না। মশার লার্ভা খেয়ে নেয় এমন মাছ পুকুরে ও অন্যান্য জলাশয়ে ছাড়তে হবে। 

ম্যালেরিয়া সবচেয়ে বেশি বিপদজনক গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। গর্ভবতী অবস্থায় কোন মহিলা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে তার সন্তানেরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গর্ভবতী মহিলারা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে সব ধরনের ওষুধ দেওয়া যায় না। তাই তাদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এক সময় কুইনাইন ব্যবহার করা হতো ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য। আজও গর্ভবতী মহিলাদের এই ওষুধ দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের নিচে শিশুরাই বেশি সমস্যায় পড়ে। তবে আগের চেয়ে এখন ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য ডায়াগনোসিস খুবই জরুরি। কুইনাইন ছাড়াও রোগীদের ক্লোরোকুইন ও প্রাইমাকুইন ওষুধ দেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে এই রোগ থেকে বাঁচতে সবার আগে সতর্ক হতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...