শিশু ও কমবয়সীরাও কি আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে?

কোন বয়সের পর আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে?  শিশু ও কমবয়সীরাও কি আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে? আর্থ্রাইটিস এড়াতে জীবনযাত্রায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত? আর্থ্রাইটিসের সাবধানতা ও প্রতিকার নিয়ে পরামর্শ দিলেন অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ অশ্বিনীকুমার পাঠক (Dr. Aswini Kumar Pathak, Orthopedic surgeon)

আর্থাইটিস এখন আর শুধু বয়সকালের অসুখ নয়, শিশু এবং কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

আর্থাইটিস নানা ধরনের হয়ে থাকে। শিশুদের হয় রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস। বয়স্কদের হয় অস্টিও আর্থাইটিস। অস্টিও আর্থাইটিসে আক্রান্তের হার তুলনামূলক ভাবে বেশি। বয়স্কদের এই রোগ ক্ষয়জনিত।  যাদের হাঁটুর হাড়ে কিছু হয়েছে, কার্টিলেজ ক্ষয় হয়ে গেছে তখন আর্থাইটিসের সমস্যা হয়। দাঁড়াতে গেলে ব্যথা, পা ধীরে ধীরে বেঁকে যাওয়া, পায়ের পাতায় ব্যথা এইসব লক্ষণ দেখা দেয়। রাস্তায় যাদের উঁচু উঁচু বা এবড়ো খেবড়ো জায়গায় হাঁটতে হয়, অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, ভারি জিনিস নিয়ে লম্বা যাতায়াত করতে হয় তাদের মধ্যে অস্টিও  আর্থাইটিসের সমস্যা বেশি। বয়স চল্লিশের কাছাকাছি পৌঁছলে এই রোগের সংকট বাড়ে। জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, গাঁটে গাঁটে ব্যথা টিনএজে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। যে সমস্ত খাবারে ওয়েট বাড়ে, অস্টিওআর্থাইটিস থাকলে সেগুলি খাওয়া যায় না।

কার্বোহাইড্রেড, ফ্যাট ফুড কমিয়ে দিতে হয়। তবে কোনও খাবারই পুরোপুরি বারণ নয়। ওজন কমানোর জন্য যে যে খাবার এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলোই খেতে বারণ করা হয়। আর্থাই টিসের কারণে শরীরের চলন ক্ষমতা কমে যায় ল, তার কারণেও ওজন বাড়ে। আর্থাইটিসের কারণে হাঁটতে চলতে না পারলে অনেক সময় পঙ্গুত্ব আসতে পারে। তার জন্য সার্জারির চিকিৎসা আছে। শরীর চৰ্চা এবং ব্যায়াম করতে হবে। আর্থাইটিসকে প্রতিরোধ করাই কাম্য। ওজন বাড়লে এই রোগ বেশি হবে। হিপ জয়েন্টের ওপর যাদের স্ট্রেস বেশি পড়ে তাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর্থাইটিস কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...