প্যানিক অ্যাটাক কেন হয়? প্যানিক অ্যাটাক হলে তাকে কী ভাবে সাহায্য করবেন? প্যানিক অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে কোন কোন দিক মেনে চলবেন? পরামর্শ দিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ অম্লান কুসুম জানা।
তাঁর মতে, প্যানিক অ্যাটাক অ্যাংজাইটির একটি ভিন্ন রূপ। কোনও ব্যক্তি যদি হঠাৎ খুব ভয় পেয়ে যায় তখন প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে মনের মধ্যে ভীষণ ভয় ও চরম উদ্বেগ কাজ করে। আক্রান্ত মানুষটি ভাবেন তাঁর সঙ্গে খুব খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। এমনকি মৃত্যু ভয়ও পেতে পারেন অনেক সময়।
কাঁপুনি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, প্রচন্ড ঘাম হওয়া- এসবই প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ।
মনের ভয় যত বাড়তে থাকে শরীরেও তার লক্ষণগুলি এভাবে বাড়তে থাকে।
ভয় পাওয়া ব্যক্তিটিকে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে শান্ত করার। মনকে সাময়িকভাবে হলেও অন্যদিকে চালনা করতে হবে। ডিপ ব্রিথিং’ এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
কোনও ব্যক্তির বারবার প্যানিক অ্যাটাকের ঘটনা ঘটলে চিকিৎসাকের পরামৰ্শ নেওয়া উচিত। শুধু মানসিক নয়, শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণেও প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা অন্য শারীরিক অসুস্থতা থাকলে আগে সেই রোগের চিকিৎসা হওয়া দরকার।