শীতে পা ফাটা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এই সময়ে বহু মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। সাধারণত শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে ত্বকে ময়েশ্চারের অভাব দেখা যায়। যার ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে এই কারণেই পা, হাত ফাটতে শুরু করে। এই পা ফাটার ফলে অন্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পা বেশি ফাটার ফলে পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ঐ ক্ষত দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও ত্বকে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। তাহলে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?
এই সমস্যা নিয়ে বিশদে জানালেন 'মেকআপ আর্টিস্ট' প্রিনা জয়সওয়াল।
প্রিনা জয়সওয়ালের মতে, শীতকাল আসার আগে থেকেই পা ফাটার সমস্যা শুরু হয় যায়। তবে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, প্রথমে একটি গামলার মধ্যে গরম জল নেওয়ার পর শ্যাম্পু ও পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট ঐ জলে ফাটা পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর কাপড় কাঁচার ব্রাশ দিয়ে পা মুছলেই ডেডসেল উঠে যাবে। এরপর পায়ে কোনও ক্রিম অথবা ভেসলিন লাগিয়ে নিতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলেই নিলে পা ফাটার সমস্যা কমবে
আবার অনেক সময় মোজা একভাবে পায়ে থাকায় দুর্গন্ধ বের হয় ঐ মোজা থেকে। তবে এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? প্রিনা জয়সওয়ালের মতে, হরমোন জনিত সমস্যা থাকলে মোজা পরার পর দুর্গন্ধ হয়। তবে মোজার মধ্যে পাউডার দিয়ে পরলে আর দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে না।
অন্যদিকে অনেকের নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যারও ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান করা সম্ভব। এর সমাধানের জন্য আম্যান্ড ওয়েলের সাথে রসুন পুড়িয়ে একটি মিশ্রন তৈরী করে নিতে হবে। এই তেল নখে লাগালে নখ আরও মজবুত হবে।
দেখা গিয়েছে নকে নেলপালিশ লাগালে কিছু দিন পর নখ হলুদ হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে, এক কিংবা দু'দিনের বেশি নকে নেলপালিশ রাখা যাবে না। এছাড়াও শীতকালে ট্যানের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে হলে যেখানে ট্যান হবে সেই অঞ্চলে জলের সঙ্গে কফি মিশিয়ে লাগাতে হবে।