লুপাস রোগ কেন হয়?

লুপাস একটি অটো ইমিউন রোগ যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম তার নিজস্ব টিস্যু এবং অঙ্গ আক্রমণ করে। এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য ১০ মে দিনটি বিশ্ব লুপাস দিবস পালন করা হয়। লুপাস রোগ কেন হয়? কীভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন? আন্তর্জাতিক লুপাস দিবসের (World Lupus Day ) বিশেষ পর্বে বিস্তারিত জানালেন ডাঃ অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় (Dr. Arghya Chattopadhyay)

ডাঃ অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লুপাস বা লিউপাসকে রোগ হিসেবে বলা হয় অটো ইমিউন ডিজিজ। শরীর নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না বলে যে রোগ হয় তাদের মধ্যে লুপাস অন্যতম। শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়। তারপর শিশুর জন্মের পর যখন বাইরের পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে যখন তার পরিচয় ঘটছে তখন সে বুঝে নেয় কোনটা তার শরীরের, কোনটা শরীরের নেয়, সেই মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এইরকম প্রক্রিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতার যে কোষগুলি আছে তারা যখন কোনও কারণে নিজেদের চিনতে পারে না তখন লুকাস আক্রান্ত হয় রোগী।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। অনুপাত ৩ঃ১। গাঁটে ব্যথা, দ্রুত ও বিপজ্জনকভাবে চুল পড়ে যাওয়া, মুখে ঘা, গায়ে র‍্যাশ, হৃদযন্ত্র, ফুসফুসে জল জমা, লিভার, কিডনি খাদ্যনালীরও ক্ষতি হয়। অ্যানিমিয়া, প্লেট রেট কমে যাওয়া- এসবও লুপাসের লক্ষণ। 

তবে লুপাসের সামগ্রিক চেহারা নিয়ে সেভাবে আজও সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। অন্যান্য রোগের ব্যথা ও লুপাসের ব্যথার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল লুপাস রোগীর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গাঁটে গাঁটে অসম্ভব ব্যথা হয়।

তবে এই রোগকে আগে থেকে প্রতিরোধের তেমন উপায় নেই। একসময় মনে করা হত মহিলাদের লুকাস হলে আর গর্ভধারণ সম্ভব নয়। আধুনিক চিকিৎসায় এই পরিস্থিতি বদলেছে। চিকিৎসকদের মতে নিয়মিত চিকিৎসা এবং সঠিক পরিকল্পনায় সফল গর্ভধারণ অবশ্যই সম্ভব। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...