পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করণীয়? এই সমস্যায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে কি গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়? ঘরোয়া টোটকায় সমাধান সম্ভব? বিস্তারিত জানালেন ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এবং ক্রিটিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ডাঃ পায়েল কুমার রায় (Dr. Payel Kumar Roy, Clinical Dietician & Critical Care Nutritionist)
শীতকাল এমনই একটা সময় যখন মানুষ ভাবে যে এই সময় বহু কিছু শাক সবজি পাওয়া যায়। ঘোরা আর খাওয়ার জন্য আদর্শ সময়। তাই চেনা খাদ্যভ্যাসে ছেদ পড়ে।
একেবারে সদ্যজাত শিশুরও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাদের নানা কারণে ব্রেস্ট ফিডের বদলে বটল ফিড করতে হয়, যখন শিশু ফিডিং বটল খাচ্ছে তখন সেটা কীভাবে ধরা হচ্ছে তার ওপরও নির্ভর করে শিশু গ্যাসের সমস্যায় আক্রান্ত হবে কিনা। সে কতটা পরিমান বাতাস গ্রহণ করছে দুধ খাওয়ার সময় সেটায় সবার প্রথম খেয়াল রাখতে হবে।
আরও বড় হলে বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, রেঁস্তোরার খাবার হয়ে ওঠে গ্যাসের সমস্যার নতুন অনুঘটক। যারা ডায়েট নিয়ে ভীষণভাবে ওয়াকিবহাল তারাও পড়তে পারে গ্যাসের সমস্যায়। কারণ কেউ ব্যালেন্স ডায়েট নিয়ে সেভাবে ভাবে না। খাবার সময়ের মধ্যে সঠিক ভাবে সময়ের অন্তর রাখা হয় না।
রাতের খাবার খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। সবার প্রথম বদল আনতে খাদ্যভ্যাস। অনেকে ডায়েটের কারণে সকালে ব্রেকফাস্ট করেন না। এটাও গ্যাসের কারণ। ফ্রায়েড ফুড, অতিরিক্ত তেল ঝাল মশলা, যে সব খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে সেই সব খাবারে গ্যাস হয়। শীতে ঠাণ্ডায় জল খাওয়া কম হয়। গ্যাসের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। পেটে ব্যথা, তলপেটে চাপ অনুভূত হয়। বয়স্কদের শারীরিক কসরত কম হয়, চলাচল বেশি হয় না এসবই গ্যাসের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে।
শরীরের নাম মহাশয় যা সওয়াবে সব সয়- এ কথা শরীরের ক্ষেত্রে খাটে না। রোগ হলে হাত পা বাঁধা। সপ্তাহে দেড়শো মিনিট হাঁটতে হবে। যে কোনও ধরনের এন্টাসিট খেয়ে সমাধান পাওয়ার চেয়ে কিছু ঘরোয়া টোটকা আছে যা এই সমস্যায় ভাল কাজ দেয়। যেমন আদা। অল্প নুন দিয়ে গরম করে রেখে দিলে খুব কাজ দেয়। কাঁচা আদাও সমান উপকারী।