রেইকি কী? রেইকি হিলিং কোন কোন শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়? মানসিক চাপ কমাতে এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ দেয়? বিস্তারিত জানালেন রেইকি গ্র্যান্ডমাস্টার লুনারিনা শীল (Lunarina Seal , Reiki Grandmaster)
জাপানে এই পদ্ধতির আবিষ্কার হয়। Rei মানে মহা জাগতিক ki মানে শক্তি। দুই মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে মহা জাগতিক শক্তি এককথায় Universal Life Force Energy. সূর্য থেকে যে শক্তি আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সেই শক্তিটাই বিশেষ পদ্ধতিতে আমরা আমাদের শরীরের মধ্যে গ্রহণ করি। অ্যাটিউম্যান প্রসেসের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্ভব হয়। কোনও গুরু যখন কাউকে ছুঁয়ে কারও ওপর প্রয়োগ করে সঙ্গে সঙ্গে তার বিভিন্ন চক্রগুলো খুলে যায়। আমাদের শরীরের ভিতরে সাতটি চক্র আছে, তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাধু সন্ন্যাসীদের এটি করতে ২৫ বছরেরও বেশি সময় লাগে। চক্র সক্রিয় হয়ে উঠলে মহাজাগতিক শক্তিকে অনুভব করা যায়। এই প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছিলেন ভগবান বুদ্ধ। তিনি যখন ৪২ দিনের জন্য ধ্যনস্থ হয়েছিলেন। মৃত্যু জরা ব্যাধি থেকে মানুষের মুক্তির পথ কী সেই পথ তিনি সন্ধান করেছিলেন। তখন এই পথ সাধারণের জন্য গুপ্ত ছিল। ১৯২১ সালে ডঃ মিকাওশুই নামে এক জাপানি গবেষক এই পদ্ধতিকে আবার খুঁজে বের করেন এক জাপানি মনেস্ট্রি থেকে।
রেইকি আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার। কারণ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার এটি একটি সহজ পদ্ধতি। বহু চিকিৎসার পরেও যে রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব হয়নি সেখান থেকে রেইকির মাধ্যমে সেরে ওঠে।
হাঁটুর ব্যথা, ফ্রোজেন সোল্ডার, টেনিস এলবো, হাত ও গ্রিপের সমস্যায় খুব ভাল কাজ দেয় এই পদ্ধতি। এছাড়া প্রেসার, সুগার, থাইরয়েড, কোলেস্টরল, ক্রনিক সমস্যা যে সমস্ত রোগে মানুষকে সারা জীবন ওষুধ খেতে হয় ঠিকমতো রেইকি করলে এই সব রোগ থাকে না। ওভারিয়ান সিস্ট, সন্তান না হওয়ার সমস্যায় রেইকি কাজ করে।
শিরদাঁড়ার বিভিন্ন সমস্যা, ব্যাক পেইন, ঘাড়ে কোমরে স্পন্ডেলাইসিস, হাড় নড়ে যাওয়া, সরে যাওয়া এই সব অসুখ খুব ভালভাবে সেরে যায়। যেখানে অপারেশন অবধারিত সেখানেও বাঁচিয়ে দেয় রেইকি। ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব রেইকি পদ্ধতিতে। কর্কট ব্যাধির যন্ত্রণা কমানো সম্ভব।
স্পর্শ করে রেইকি ট্রিটমেন্ট হয়, স্পর্শ না করেও করা যায়। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে। কারণ এটি পুরোপুরি ভাইব্রেশন নির্ভর পদ্ধতি। তার মাধ্যমেই সম্ভব হয় দূর চিকিৎসা।
রেইকির মাধ্যমে মানসিক সমস্যার সমাধানও হয়। এই পদ্ধতির নিয়মিত অভ্যাসে মানসিক শান্তি আসে। রেইকি প্রথমেই কাজ করে মনের ওপর। চরম অবসাদে নিজের নামটাও বলার ক্ষমতা হারিয়েছে এমন পরিস্থিতি থেকেও মানুষকে জীবনে ফিরিয়েছে এই পদ্ধতি।