মায়ের হেপাটাইটিস বি থাকলে তা সন্তানের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে

হেপাটাইটিস বি হল একটি সংক্রমিত অসুখ। ভাইরাস থেকে হয়। দীর্ঘদিন এই ভাইরাস শরীরে থাকলে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ১২ জনের মধ্যে একজন হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত। সংখ্যাটা গোটা বিশ্বের নিরিখে প্রায় ৫০ কোটি। যার মধ্যে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ এই রোগ। এই রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানালেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ তুহিন মিত্র।

ডাঃ তুহিন মিত্র বলেছেন, হেপাটাইটিস বি এক ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন। সংক্রমণজনিত এই রোগ বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যে। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস বি হলে লিভার ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়। যার ফলে পেটে ব্যথা হয়, জন্ডিস ও ফ্যাটি ফিভার হতে পারে। আর যদি ইনফেকশন তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে সেটা ক্রনিক হেপাটাইটিস বি-তে পরিণত হবে। ক্রনিক অনেক সময় ব্লাড টেস্ট করলে ধরা পড়ে। এছাড়াও লিভার ক্ষতিগ্ৰস্থ হতে পারে ও পেটে জল জমতে পারে।

ক্রনিক হেপাটাইটিস বি লিভারে সিরোসিস সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে ক্যান্সারে পরিণত হয়। এছাড়া সিরোসিসে পরিণত না হলেও অনেক সময় শুধু ক্রনিক হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত হলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরে সেটা ক্যান্সারে পরিণত হয়। মায়ের হেপাটাইটিস বি থাকলে তা সন্তানের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়াও স্বামীর যদি এই অসুখ থাকে তাহলে স্ত্রীও সংক্রমিত হবেন।

অ্যাকিউট হেপাটাইটিস বি-র চিকিৎসার দরকার পড়ে না। নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু যদি ক্রনিক হেপাটাইটিস বি থেকে লিভার ক্ষতিগ্ৰস্থ হয় তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তবে লিভারে ক্ষতি না হলে চিকিৎসার দরকার পড়ে না। কিন্তু মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিতে হবে। যেহেতু একবার ক্রনিক হেপাটাইটিস বি-র ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে সারা জীবন সেটা শরীরে থেকে যায়। তাই সময় মতো চিকিৎসকের কাছ থেকে চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।

তবে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। সব বয়সের মানুষ এই ভ্যাকসিন নিতে পারবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...