সুস্থ জীবনযাপনের জন্য শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুব জরুরি। কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় এখন অনেকেই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে পারেন না। অত্যাধিক পরিমাণে জাঙ্গ ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া ও স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ার ফলে তৈরি হয় নানা ধরনের সমস্যা। কেমন হওয়া উচিত সঠিক ডায়েট পরামর্শ দিয়েছেন ওয়েল নেস কোচ নুর আফসানা।
ওয়েল নেস কোচ নুর আফসানা জানিয়েছেন, ওয়েট ম্যানেজমেন্ট করার একটি বিশেষ যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে বডি প্যারামিটারস চেক করা হয়। যার মাধ্যমে উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন তা বলা যাবে। শরীরের কোন অংশে ফ্যাট রয়েছে তাও জেনে নেওয়া যায়। তারপরেই বলা যাবে কীভাবে ওয়েট ম্যানেজমেন্ট করা উচিত? তবে যদি বাইরে ব্রেকফাস্টে করতে হয় তখন সব সময় কম ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। আর এই ধরনের ব্রেকফাস্টের জন্য ব্রাউন ব্রেড, মশলা ওটস, কুসুম ছাড়া ডিম। এছাড়াও সকালে গ্ৰিন টি পান করা যেতে পারে যা শরীরের জন্য উপকারী। অনেক সময় বেশি খাবার খাওয়ার পর এনার্জি কম লাগে। এই ধরনের সমস্যা জন্য গ্ৰিন টি খুব কার্যকরী।
তাড়াতাড়ি কাজে বেরোনোর সময় অনেকে ব্রেকফাস্ট করেন না। লাঞ্চ আর ব্রেকফাস্ট একবারে করে নেন। কিন্তু এমন করা উচিত না। ইমিউনিটি বুস্ট করতেও ডায়েট মেনটেইন করতে হয়। ভিটামিন সি ইমিউনিটি বুস্টআপ করতে সাহায্য করে। তাই কমলালেবু, পাতিলেবু, শাক, বাঁধাকপি ছাড়াও অন্যান্য যে সব শাক রয়েছে তা খেতে হবে। এই সব খাবার ইমিউনিটি বুস্ট আপ করতে সাহায্য করে। শিশুদের বেশি জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তার বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
এখন জয়েন্ট পেন কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত ক্যালশিয়ামের অভাব ও হাড়ের জয়েন্টের কার্টিলেজ শুকিয়ে গেলে জয়েন্ট পেনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাই ধীরে ধীরে অ্যাথারাইটিসে পরিণত হবে। ক্যালশিয়ামের অভাবে হাড় ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যাবে। যার ফলে সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে। হজমের সমস্যা থাকলেই মুখে ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়। কম ক্যালরির যে সব খাবার ও ফল আছে সেগুলি খেতে হবে। যেমন- তরমুজ, আপেল জাতীয় ফল। তবে অবশ্যই জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমাতে হবে।