১৯৪৮ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি ‘দৃষ্টিদান’। নীতিন বোসের নির্দেশনায় এই ছবি দিয়েই টলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। সহ অভিনেতা হিসেবে ছিলেন অসিত বরণ, ছবি বিশ্বাস, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা। ডেবিউ ছবিতে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল অরুণ কুমার নামে। কিন্তু বক্সঅফিসে চূড়ান্ত ফ্লপ হয় ‘দৃষ্টিদান’। দ্বিতীয় ছবি ‘কামনা’য় নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘উত্তম চট্টোপাধ্যায়’। মুখ থুবড়ে পড়ে দ্বিতীয় ছবিটিও। একের পর এক অসফল ছবিতে অভিনয় করে ছায়াছবির জগতে তখন তিনি ‘ফ্লপ মাস্টার’। তবে হাল কখনই ছেড়ে দেন নি তিনি। ১৯৫২ সালে ভাগ্যের চাকা যায় ঘুরে যায় ‘বসু পরিবার’ ছবির হাত ধরে। তাঁর অভিনয়-জীবনের প্রথম সাফল্য। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, শিল্পী, হারানো সুর, সপ্তপদী, শাপমোচন, পথে হল দেরী, সাগরিকা, অগ্নিপরীক্ষা –একের পর এক ব্লকবাস্টার আসে তাঁর হাত ধরে। সাদাকালো দুনিয়ায় তাঁর রোম্যান্টিসিজমের মাদকতায় বুঁদ হয়ে থাকত একটা গোটা প্রজন্ম।
‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’ থেকে অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় হয়ে ওঠেন বাঙালির যুগান্তকারী আবেগ, হয়ে ওঠেন ‘মহানায়ক’ উত্তম কুমার। ৩ সেপ্টেম্বর, তাঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে জিয়ো বাংলার পক্ষ থেকে রইল এই স্মরণিকা।