জরায়ু ফাইব্রয়েড কী? জরায়ুতে ফাইব্রয়েড কতটা ভয়ের? অপারেশন ছাড়া কি জরায়ু ফাইব্রয়েড নিরাময় সম্ভব? বিস্তারিত জানালেন গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ সুদেষ্ণা সাহা (Dr. Sudeshna Saha, Gynaecologist)
জরায়ুতে বিনাইন টিউমারের পোশাকি নাম ফাইব্রয়েডস। ডাঃ সুদেষ্ণা সাহা জানিয়েছেন, সন্তানধারণের বয়সে মানে ১৮-৪৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। ক্যানসারের দিক থেকে দেখতে গেলে নন-ম্যালিগন্যান্ট হওয়ার কারণে সেই অর্থে ভয়ঙ্কর না হলেও এই অসুখের জন্য যে সমস্যা হয় সেগুলো যথেষ্ট পীড়াদায়ক। হঠাৎ প্রচন্ড ব্লিডিং, যন্ত্রণা- এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেগুলির ব্যাপারে সচেতন না হলেও সমস্যা হয়ে ওঠে গুরুতর। এই রোগে অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ারও ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আপাতভাবে এই রোগ আলাদা করে চেনা যায় না। অতিরিক্ত রক্তস্রাব, পেটে ব্যথা, পেট ভার হয়ে থাকা, বারবার প্রস্রাবের বেগ, কোষ্ঠ কাঠিন্য, সন্তান ধারণে সমস্যা, গর্ভপাত এই ধরনের বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে অনেক সময় পরীক্ষায় ফাইব্রয়েড ধরা পড়ে।
জরায়ু ফাইব্রয়েড কেন হয়- জরায়ুর ফাইব্রয়েডের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। কয়েকটি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ থাকলে অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। তবে এটা ইস্টোজেন নির্ভর টিউমার। পারিবারিক ইতিহাসে থাকলে হতে পারে। যাদের বিএমআই হাই তাদের আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। যাদের পিরিয়ডস আগে শুরু হয়েছে সেই ক্ষেত্রেও একটা সম্ভাবনা থাকে। রেড মিট, অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাসে অভ্যস্ত তাদের হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি।