উত্তর কলকাতার কোথায় পাবেন বৃন্দাবনের রাধাকৃষ্ণের ছোঁয়া?

উত্তর কলকাতার বুকে আছে এক আশ্চর্য্য ‘বৃন্দাবন’। অন্নকূট উৎসবে সেখানে শ্যাম-রাইকে নিবেদন করা হয় ৩০০ রকম ভোগ। বাগবাজারের নব বৃন্দাবন মন্দির কৃষ্ণপ্রিয় ভক্তদের বড় টান। জিয়ো বাংলার পর্দায় জেনে নিন মন্দিরের ইতিহাস।

উত্তর কলকাতার বুকেই রয়েছে এক টুকরো বৃন্দাবনের ছোঁয়া। বাগবাজার চত্বরে রয়েছে নব বৃন্দাবন।

১৩৪৭ বঙ্গাব্দে, ইংরেজের ১৯৪০ সালে কড়ুরী পরিবারে শ্রী নন্দলাল কড়ুরী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বৃন্দাবন মন্দিরে এই রকম আদল দেখেই বাগবাজারে প্রতিষ্ঠা করেন নব বৃন্দাবন মন্দির।

এই মন্দিরের সেবায়েত, দীপক কড়ুরী জানিয়েছেন যে তাঁর ঠাকুরদা ১৩৪৭ বঙ্গাব্দে, ইংরেজের ১৯৪০ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগে বিগ্রহ তাঁদের রাসবিহারী অঞ্চলের পুরোনো বাড়িতে ছিল কিন্তু সেখানে স্থান সংকুলনের জন্য মন্দিরের আকার বড় করে করার প্রয়োজন হয়। 

তারপর বাগবাজারের এখানে জমি কিনে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বৃন্দাবন ধামের মন্দিরের আদলে নব চূড়া দিয়ে তৈরী হয় মন্দির। ‘বৃন্দাবন’ নাম রাখা যাবে না বলে ‘নব বৃন্দাবন’ নামে রাধা-কৃষ্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এই মন্দিরে সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত অনুষ্ঠানটি হল 'অন্নকূট'। এছাড়া রাসবিহারীর সবরকম অনুষ্ঠান যেমন ঝুলন, রাস, জন্মাষ্টমী সুষ্ঠ ভাবে পালন করা হয়।

তবে জানা গিয়েছে, আগে রাস অনুষ্ঠান বড় করে হত, এখন ছোট করে করা হয়।

এখানে কালীপুজোর পর অন্নকূটের সময় শ্রী কৃষ্ণ দেবকে ৩৫০ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয়। শুক্লভোগ, রান্নাভোগ, অন্নভোগ এবং মিষ্টান্ন সব মিলিয়ে নিবেদন করা হয় ভোগ।

দীপক কড়ুরী জানিয়েছেন যে এই মন্দিরের পরিচর্যায় কয়েকজন রয়েছে কিন্তু তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্য এই দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন যে তাঁদের পারিবারিক ট্রাস্ট রয়েছে। সেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠাতা নন্দলাল কড়ুরী্র নির্দেশ অনুসারে দুর্গাপুজো এবং অন্নপূর্ণা পুজো মন্দিরের ঠাকুর দালানে হয়। তার জন্য আলাদা একটা ফান্ড রয়েছে।

এখানে রথযাত্রাও খুব সুন্দর করে করা হয়। ১০৩ বছর ও তার বেশি পুরোনো তাঁদের এই রথ। সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ জয়রাম টুরিস্ট লেখা বাড়ি আছে, সেখানেই রাখা হত তাঁদের রথ।

এই নব বৃন্দাবন মন্দিরটি ৪৩ বছর পুরোনো। এই মন্দিরের আরাধ্যা দেবতাই হলেন রাধা-কৃষ্ণ।

মন্দিরের ভিতরে রয়েছে নাট মন্দির। সেখানেই পালিত হয় সমস্ত উৎসব।

এই মন্দিরে অন্নকূট উৎসবের দিন শ্রী কৃষ্ণ বিরাজ করেন অন্ন পর্বতের ওপর। এদিন উপচে পড়ে মানুষের ভিড়।

এছাড়া এই মন্দিরের নাট মন্দিরেই রয়েছে শ্রী নন্দলাল কড়ুরী র এক মূর্তি।

কিভাবে যাবেন এই মন্দিরে?

উত্তর কলকাতার বাগবাজার থেকে রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজ ধরে একটু হাঁটলেই মন্দিরের দ্বারে পৌঁছে যাবেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...