ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ শাড়ি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস যতই মন কাড়ুক তবু আজও বিশেষ অনুষ্ঠান মানে শাড়ি। শাড়ির জনপ্রিয়তা সব প্রজন্মের কাছে একইরকম। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ি পরার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। এখন নতুন প্রজন্মের মেয়েদের মধ্যেও শাড়ি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। তবে শাড়ি পরে সব ধরনের কাজে যাওয়া সম্ভব নয়। অনেক মেয়েকেই শাড়ি সামলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু শাড়িকে যে কোনও কাজের মতো করে পরাই যায়। তার কিছু সহজ উপায়ও রয়েছে।
তাহলে আধুনিক লুক আনতে শাড়ি কীভাবে ড্রেপ করবেন? শাড়ি ব্যবহার করে কী কী আধুনিক লুক আনা যায়?
শাড়ি ড্রেপ করে ব্যবহার করার সেরা সহজ উপায় দেখাতে চলেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার নেহা তুলশীয়ান।
ফ্যাশন ডিজাইনার নেহা তুলশীয়ানের মতে, এই প্রজন্মের মেয়েদের মধ্যে শাড়ি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানার ফলে সব সময় শাড়ি ব্যবহার করতে পারে না তারা। শাড়ির ব্যবহার করে কিছু নতুন লুক দেখানো হল-
প্রথমে লুকে সাধারণ একটি 'ফ্লোয়িং পাল্লু' শাড়ি দেখানো হয়েছে। এই শাড়ির আঁচল ড্রেপ করে কাঁধের বাম দিকে রাখতে পারেন অথবা কাধের নিচেও ড্রেপ করে আটকাতে পারেন।
দ্বিতীয় লুকে দেখানো হয়েছে একটি শাড়িকে গাউনের মতো করে পরার পদ্ধতি। একটি শাড়ির কুচি করে নীচে আটকে নিতে হবে। তারপর আঁচল বুকের সামনে থেকে এনে পিঠে আটকে নিতে হবে। এই লুকের সঙ্গে কোমরে একটি কালো রঙের বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
তৃতীয় লুকে একটি লেহেঙ্গার উপর শাড়ি পরানো হয়েছে। এই শাড়ির আঁচল আগের লুকের পদ্ধতি ব্যবহার করে পিঠে আটকে নিতে হবে। শাড়ির কুচি নীচের দিকে আটকে নিতে হবে।
চতুর্থ লুকে দেখানো হয়েছে জিন্সের উপর শাড়ি পরার পদ্ধতি। প্রথমে জিন্সের প্যান্টের উপর শাড়িটি পরে নিতে হবে। এই পদ্ধতি মেনে শাড়ি পরলে শাড়ি সামলাতে অনেক সুবিধা হয়।
পঞ্চম লুকে দেখানো হয়েছে ওড়না দিয়ে শাড়ি পরার পদ্ধতি। প্রথমে একটি শাড়িকে কুচি করে লেহেঙ্গার মতো করে আটকে নিতে হবে কোমরে। তারপর একটি ওড়না ব্যবহার করতে হবে।