‘বল্লভপুরের রূপকথা’র গল্পে ‘ভূপতি’ আর ‘দেওয়ান সাহেব’

অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পরিচালিত প্রথম ছবি 'বল্লভপুরের রূপকথা'। অভিনেতা অনির্বাণ যেমন বাঙালি দর্শকদের খুব প্রিয় ঠিক তেমনি পরিচালক অনির্বাণও ধীরে ধীরে দর্শকদের মনে ছাপ ফেলতে শুরু করেছে। এই ছবি সেই পথকে আরও প্রশস্ত করেছে। বড় পর্দায় আসার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে 'বল্লভপুরের রূপকথা' নিয়ে উৎসাহ বেড়েছে। বিশেষ করে ছবির দুই অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্য ও দেবরাজ ভট্টাচার্যের অভিনয় নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। জিয়ো বাংলার টলিকথার আড্ডায় হাজির হয়ে তাদের শ্যুটিংয়ের নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দুই অভিনেতা।

প্র: কবে জানতে পারলে যে তুমি 'বল্লভপুর' যাচ্ছ?

সত্যম ভট্টাচার্য: এবছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে। যদিও আমাকে প্রথমে আশ্বাস দেওয়া হয়নি যে আমিই এই চরিত্রটা করব। আমাকে এই চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়ার আগে অনেক-অনেক অডিশন দিতে হয়েছিল। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বার অডিশন দিতে হয়েছিল।

প্র: দেবরাজদা তুমি কখন জানলে যে 'বল্লভপুর'-এ আছ?

দেবরাজ ভট্টাচার্য: একবার 'বল্লভপুরের রূপকথা' নাটকটা দেখে আমরা চা খাওয়ার জন্য বাইরে এসেছিলাম। তখন আমাকে অনির্বাণ বলেছিল যে 'বল্লভপুরের রূপকথা' নিয়ে আমরা একটা ছবি করছি। তোকে সঞ্জীবের চরিত্র করতে হবে।

প্র: দেবরাজদা, তোমার উপর মিউজিক ও অভিনয় দুটোর দায়িত্ব ছিল। কতটা চাপে ছিলে তুমি?

দেবরাজ ভট্টাচার্য: মিউজিক দেওয়ার কথা অনির্বাণ সেভাবে কখনও আমাকে বলেনি। লক ডাউনের সময় থেকেই আমরা গান বাজনা করতাম। কিছু গান রিলিজও করেছিলাম। তারপর ছবি তৈরির কথা বলার পর হঠাৎ একটা গান আমাকে আমাকে পাঠিয়ে বলল, সুর করতে।  এরপর আমাদের সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই গানগুলো রেডি হয়ে গিয়েছিল।

প্র: সত্যম কী রঘুদা'র মতোই? কবিতা আর শব্দ দিয়ে মেয়েদের প্রেমে ফেলে দেয়?

সত্যম ভট্টাচার্য: একদমই নয়, সত্যম অনেকটা ভূপতির মতো। তাই হয়তো অনির্বাণদা আমাকে এই চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছে।

প্র: শ্যুটিংয়ের এক্সপিরিয়েন্সটা কেমন ছিল?

দেবরাজ ভট্টাচার্য: শ্যুটিংয়ের এক্সপিরিয়েন্স তো ভাল ছিল। কিন্তু শ্যুটিংয়ের আগে আমাদের রিহার্সাল দিতে হয়েছিল। আর অনির্বাণ আমাদের বলেই দিয়েছিল যে প্রতিটা চরিত্রের ডায়লগ বলার জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম বলে দিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল যে একটা স্পিড মেইনটেইন করে ডায়লগ বলতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই সকলে ডায়লগ বলেছে।

প্র: সত্যম, আগে তুমি অনির্বাণদা'কে অ্যাসিস্ট করতে। সেখানে থেকেই কী অনির্বাণদা'র কাজ সম্পর্কে তোমার একটা ধারণা তৈরি হয়েছে?

সত্যম ভট্টাচার্য: আমি 'ধনঞ্জয়' ছবিতেও অনির্বাণদা'র সঙ্গে কাজ করেছিলাম। তবে সেখানে খুব বেশি কথা না হলেও পরে 'ভূমি কন্যা'-সিরিয়ালে কাজ করার সময় অনির্বাণদা'র সঙ্গে খুব একটা বন্ডিং তৈরি হয়েছিল। তারপর 'মন্দার'-এ কাজ করার সময় পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে আমি চিনেছি।

প্র: অনেকের ধারণা ভুপতির ভয়েসটা অনির্বাণদা ডাব করেছে? এটা কী সত্যি?

সত্যম ভট্টাচার্য: না, ওটা আমারই গলা। এছাড়াও বাকি দুটো চরিত্রের ভয়েস আমিই দিয়েছি।

প্র: দেবরাজদ্‌ তুমি এর আগেও 'বিবাহ অভিযান'-এ প্লে-ব্যাক করেছ। তারপর তোমার অভিনয়ের যাত্রা কীভাবে শুরু হল?
দেবরাজ ভট্টাচার্য: আমি আগে 'মিনার্ভা রেপার্টরি থিয়েটার গ্ৰুপ'-এ অভিনয় করতাম। সেখানে অভিনয় করে অন্য জায়গায় অভিনয় করা যায় না। ২০১৮ সালে আমি সেই গ্ৰুপ ছাড়ার পর ক্যামেরার সামনে কাজ করা শুরু করি। আমার প্রথম কাজ ছিল 'বিবাহ অভিযান' তারপর 'সুফিয়ানা-২'তে কাজ করেছিলাম। সেখান থেকেই জার্নি শুরু হল। তবে 'সঞ্জীব'-এর মতো এত বড় চরিত্র আগে করিনি।

প্র: 'বল্লভপুরের রূপকথা' নাটকে অভিনয় করলে কে কোন চরিত্রটা করবে?
দেবরাজ ভট্টাচার্য: আমি সঞ্জীবের চরিত্রটাই করব।
সত্যম ভট্টাচার্য: আমারও সঞ্জীবের চরিত্রটাই বেশি প্রিয়। কিন্তু মঞ্চে আমি ভূপতির চরিত্র প্লে করতে চাই।

প্র: সত্যম ভট্টাচার্য যদি কোনও ছবি পরিচালনা করে। তাহলে ড্রিম প্রোজেক্ট কী হবে?
সত্যম ভট্টাচার্য: এখনও ভাবিনি। কিন্তু এখন অভিনয় ছাড়া আর কিছু ভাবতে চাইছি না।

প্র: দেবরাজদা, তোমার কাছে ড্রিম প্রোজেক্ট কী?

দেবরাজ ভট্টাচার্য: কোনও আলাদা প্ল্যানিং নেই। তবে এখন আমার একটা নেগেটিভ চরিত্র করার ইচ্ছা আছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...