In English
বাংলা ধারাবাহিক ও বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ হলেন অভিনেত্রী মধুরিমা চক্রবর্তী। তাঁর অভিনীত সুনিধি ও তৃণা চরিত্রটি টেলিভিশনের দর্শকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। খুব তাড়াতাড়ি বড় পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। জিয়ো বাংলার টলিকথার আড্ডায় নিজের ঘরে-বাইরে জীবন নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় মাতলেন।
প্র: অভিনয় করার সময় তুমি চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যাও। তোমার অভিনীত সেই চরিত্রগুলোকে দেখে সকলেই রেগে যায়। এই বিষয়ে নিয়ে তুমি কী বলবে?
মধুরিমা চক্রবর্তী: এটা সত্যিই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। আমি হয়তো ভাল অভিনয় করেছি বলেই তারা মধুরিমাকে ভুলে গিয়ে ‘সুনিধি’ বা ‘তৃণাকে’ দেখছে।
প্র: আমাদের কাছে একটা খবর আছে যে তুমি এবার বড় পর্দায় আসতে চলেছ। এটা কী সত্যি?
মধুরিমা চক্রবর্তী: হ্যাঁ। আমার তরফ থেকে অনেক সুন্দর একটা উপহার দর্শক পেতে চলেছে। আশা করছি ছোট পর্দায় দর্শকরা যেমন আমার অভিনয়কে ভালবেসেছে ঠিক তেমন বড় পর্দায়ও আমার কাজ দেখে তারা খুশি হবে।
প্র: সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের সময় অনেক মজার অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। এমন কিছু ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করো।
মধুরিমা চক্রবর্তী: 'কনে বৌ' সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের সময় আমি বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকতাম। কিন্তু 'জীবনসাথী'র শ্যুটিং করার সময় অনেক মজা করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি কনফিডেন্ট আর সবচেয়ে বেশি মজা করতে পেরেছিলাম 'ত্রিশূল'-এর শ্যুটিং করার সময়।
প্র: 'জীবনসাথী'র সেটে তোমার সঙ্গে ইন্দ্রাণীদি'র ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই নিয়ে কী বলবে তুমি?
মধুরিমা চক্রবর্তী: ইন্দ্রাণীদি পুরো মাটির মানুষ। সেটে সবার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল তার। সেটের সকলকে মায়ের মতো দেখভাল করত ইন্দ্রাণীদি।
প্র: তোমার ছোটবেলা থেকেই কী অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল?
মধুরিমা চক্রবর্তী: হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকে এই একটা ইচ্ছাই ছিল আমার। যদি অভিনেত্রী না হতে পারতাম তাহলে বিয়ে করে নিতাম। কিন্তু বড় হওয়ার পর বুঝলাম যে বিয়েটা কোনও অ্যাচিভমেন্ট নয়। যেটা সকলের জীবনেই আসে।
প্র: কী কী নতুন প্রজেক্ট আসতে চলেছে তোমার?
মধুরিমা চক্রবর্তী: আমি যে ছবিতে অভিনয় করতে চলেছি, সেটা আগেই বললাম। আমার ধ্যান, জ্ঞান সব কিছুই এখন এই কাজের উপরে রয়েছে। ছবিতে বাকি কাস্ট যারা আছেন তাদের থেকে আমার কাজটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাই ওয়ার্কশপ চলছে আমার।
প্র: মধুরিমা চক্রবর্তী ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক কেমন?
মধুরিমা চক্রবর্তী: আমার যা মনে হয় সেটা আমি মুখের উপর বলে দিই। আমার এখন মনে এটা করা উচিত না। অনেক সময় আমার এই স্বভাবের জন্য আমাকে খারাপ পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে।
এবার র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে অভিনেত্রী মধুরিমা চক্রবর্তী।
প্র: এক কাপ চায়ে কাকে চাই?
মধুরিমা চক্রবর্তী: কাউকে না। শুধু আমার ডিরেক্টর আর প্রোডিউসার।
প্র: সত্যজিৎ রায়ের 'তিন কন্যা'র মধ্যে কোন কন্যা হতে চাইবে?
মধুরিমা চক্রবর্তী: মণিহারা।
প্র: এই সময় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় অভিনেতা কে?
মধুরিমা চক্রবর্তী: জিৎদা।
প্র: টাইম মেশিন পেলে কোথায় ফিরে যেতে চাইবে?
মধুরিমা চক্রবর্তী: ছোটবেলায় বাবার কাছে ফিরে যেতে চাইব।
প্র: তোমার সঙ্গে ডেটে যেতে হলে কী পয়েন্ট মাথায় রাখতে হবে?
মধুরিমা চক্রবর্তী: আমি তো গাধা, তাই আমার সঙ্গে যে ডেটে যাবে তাকে একটু বুদ্ধিমান হতে হবে।
প্র: তোমার প্রিয় সুপার হিরো?
মধুরিমা চক্রবর্তী: স্পাইডার ম্যান।
প্র: টলিউড ও বলিউডের সেলিব্রেটি ক্রাশ। আর সামনে পেলে তাকে কীভাবে প্রোপজ করবে?
মধুরিমা চক্রবর্তী: শাহির শেখকে আমার ভাল লাগে। কিন্তু সামনে পেলে প্রোপজ করব- এমনটাও না।
