ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে অভিনেতা আবার অভিনেতা থেকে উপস্থাপক। আর উপস্থাপনাই এনে দিয়েছে তাঁকে খ্যাতির মুকুট। উপস্থাপনার পাশাপাশি হিন্দি ও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় ছবি ও ওয়েব সিরিজে নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। এই মাল্টি ট্যালেন্টেড মানুষটি প্রসূন সাহা। জিয়ো বাংলার টলিকথা অনুষ্ঠানে আড্ডা দিতে এসে নিজের জীবনের অজানা গল্প দর্শকদের সামনে তুলে ধরলেন অভিনেতা প্রসূন সাহা।
প্র: সবার আগেই একটা কথা জানতে চাই যে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমার নামের পাশে একটা 'এন' অ্যাড করা হয়েছে। এটা কেন?
প্রসূন সাহা: এটার কোনও রহস্য নেই। আসলে আমি জ্যোতিষ মেনে চলি। তাই জ্যোতিষীর কথা শুনেই নামের বানানের শেষে একটা 'এন' ব্যবহার করা শুরু করেছি।
প্র: তুমি নিজে ইন্টারভিউ নিতে শো হোস্ট করতে সেখান থেকে এখন তোমার ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে। এই এক্সপিরিয়েন্সটা কেমন ছিল?
প্রসূন সাহা: আমার ইন্টারভিউ যাতে নেওয়া হয় সেই কারণেই আমি ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম। ইন্টারভিউ নেব এমন কোনও প্ল্যান ছিল না। একদিন আমাকে ফোন করে জানানো হল আমাকে একজন বড় স্টারের ইন্টারভিউ নিতে হবে। আমি প্রথমে বলেছিলাম পারব না। কিন্তু তারপর ইন্টারভিউটা নেওয়ার পর ভাইরাল হয়ে গেল।
প্র: তোমার ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করা। তারপর ভাল চাকরি ছেড়ে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছ। এই জার্নিটা সম্পর্কে শুনতে চাই তোমার থেকে।
প্রসূন সাহা: তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি অনেক কষ্ট করেছি। কিন্তু এমনটা নয়, তুমি যদি কোনও জিনিসকে ভালোবাসো তাহলে সেই কাজটা তোমার জন্য আরও সহজ হয় যায়। আমি সেই একটা চাকরি ছেড়ে আর একটা চাকরি জয়েন করছিলাম। এভাবে আমি সাড়ে তিন বছর চাকরি করার পর অভিনয় জগতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমে এই কথাটা আমি মাকে জানাইনি। পরে অবশ্য অভিনয় করে যখন টাকা রোজগার করা শুরু করেছিলাম তখন মাকে জানিয়ে ছিলাম।
প্র: 'বন্য প্রেমের গল্প'র জন্য তুমি মেথড অ্যাক্টিং ট্রাই করেছিলে। কেমন ছিল সেই প্রিপারেশন?
প্রসূন সাহা: আমি একবার একটা অ্যাড শ্যুট করছিলাম। তখন আমাকে 'বন্য প্রেমের গল্প' ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার জন্য ফোন করা হয়েছিল। আমি নেগেটিভ চরিত্র শুনে প্রথমে কাজ করব না ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে ওরা বলেছিল আমাকে যে ওয়েব সিরিজে আমার ডবল রোল আছে। তাই আমি কাজ করার জন্য রাজি হয়েছিলাম। চরিত্রের জন্য আমাকে বলা হয়েছিল প্রতি দিন পান খেতে আর লুঙ্গি পরতে।
প্র: বাংলার পাশাপাশি তুমি বহু হিন্দি প্রজেক্টেও কাজ করেছ। সেই নিয়ে কী বলবে তুমি?
প্রসূন সাহা: হিন্দিতে কাজ করতে আমি খুবই ভালোবাসি। শুরুর দিকে আমি যখন ওয়ার্কশপ করতাম তখন বাংলা বলতে পারতাম না তাই আমাকে যে ওয়ার্কশপ করাতেন তিনি বলেছিলেন প্রথম বাংলা শেখ তারপর বাংলাতে কাজ কর তারপর অন্য জায়গায় কাজ করবি। তখনই আমি বাংলা বলা শিখেছিলাম। পড়ে আমি বাংলাতেও কাজ করেছি। আর হিন্দিতে আমি কাজল আগরওয়ালের সঙ্গে 'ওমা' সিনেমায় কাজ করেছি। এছাড়াও অনেক হিন্দি অ্যাড ফিল্মে কাজ করেছি।
প্র: বাংলা আর হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে তফাৎ কী রয়েছে?
প্রসূন সাহা: ওখানকার ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা খুব সিনসিয়ার। ওখানে খুব সময়ে নিয়ে কাজ করা হয়। অনেক টাইম পাওয়া যায়। অন্যদিকে এখানে আমাকে একদিনে প্রায় ১৩টা সিনেরও শ্যুটিংয়ে করতে হয়েছিল।
এবার র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে অভিনেতা প্রসূন সাহা।
প্র: জীবনের সবচেয়ে এম্বারেসিং মোমেন্ট?
প্রসূন সাহা: জীবনে এই ধরনের পরিস্থিতিতে খুব একটা পড়তে হয়েনি।
প্র: তোমার উইয়ার্ডেস্ট নিক নেম?
প্রসূন সাহা: পচা।
প্র: টেস্টিং না টকিং?
প্রসূন সাহা: টেস্টিং।
প্র: লাস্ট কোন গান ডাউনলোড করেছ?
প্রসূন সাহা: আলি জাফরের 'ঝুম' গানটা।
প্র: পরের জন্মে মানুষ ছাড়া কোন প্রাণী হয়ে জন্মাতে চাও?
প্রসূন সাহা: ষাঁড়।
প্র: সুপার পাওয়ার পেলে কোন পাওয়ারটা তুমি পেতে চাও?
প্রসূন সাহা: যত ইচ্ছা খাও কিন্তু ওজন বাড়বে না।
প্র: উইয়ার্ডেস্ট ফুড কম্বো?
প্রসূন সাহা: ফুচকা ফ্লেভার আইসক্রিম।
প্র: সেলিব্রেটি ক্রাশ?
প্রসূন সাহা: রাধিকা আপ্তে।
প্র: সিক্রেট কিপার হিসেবে কত নম্বর দেবে নিজেকে?
প্রসূন সাহা: তিন।
প্র: উইয়ার্ডেস্ট অজুহাত?
প্রসূন সাহা: এটা অফিসের ক্ষেত্রে বলতে পারব। যখন আমি অফিসে কাজ করতাম তখন অনেক অজুহাত দিতাম।