‘সৌমি’কে মিস করিঃ অনন্যা সেন | অভিনেত্রী অনন্যা

টেলিভিশনের দর্শকরা চেনে 'সৌমি' নামেই। যদিও ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দা, খুদে পর্দা- সব জায়গাতেই সমানভাবে নজর কেড়েছেন দর্শকদের। 'একান্নবর্তী'  ছবি তাঁকে করেছে হৃদয়ের কাছাকাছি ঘরের মেয়ে। মীরা নায়ারের  'অ্যা সুটেবল বয়'-এর মতো ওয়েব সিরিজে দেখা গিয়েছে তাকে। অভিনেত্রীর নাম অনন্যা সেন। অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল ছোটবেলা থেকেই, অভিনেত্রী হিসেবে শিরোনামেও এসেছেন। যদিও শুরুটা হয়েছিল একেবারে অন্যভাবে। ক্যামেররা সামনে নয়, ক্যামেরার পিছনে। অভিনেত্রী হিসেবে সামনে আসার আগে তিনি ছিলেন অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর। কিন্তু কীভাবে ডানা পেল অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছেরা, সেই গল্প টলিকথার আড্ডায় শেয়ার করলেন অভিনেত্রী অনন্যা সেন।

প্র: সহ পরিচালক থেকে সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ, তারপর এখন তো সিনেমাতেও। তোমার জার্নিটা কীভাবে শুরু হয়েছিল?

অনন্যা সেন: আমি অভিনয় শুরু করি যখন তখন আমি ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি। আমি থিয়েটারেই প্রথম অভিনয় করা শুরু করেছিলাম। আমি তখন থেকেই ভাবতাম যে আমি অভিনেত্রী হব। কিন্তু যখন স্কুল থেকে কলেজে উঠি তখন সকলে আমাকে বলত যে আমি মোটা বলে আমাকে ভাল চরিত্র দেওয়া হবে না। সেই কারণে আমি ভাবতাম আমার অভিনেত্রী হওয়া হবে না। সেই জন্য আমি অ্যাসিস্ট করা শুরু করেছিলাম। তারপর আমার মনে হয়েছিল যে আমি সময় নষ্ট করছি আমার অ্যাক্টিং করা উচিত। সেই সময় আমার এক সিনিয়র আমাকে কল করে বলে একটা সিরিয়ালে ছোট চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। আমার কাজটা করে ভাল লেগেছিল। আর তারপর আরও একটি সিরিয়ালের অডিশনের জন্য আমাকে কল করা হয়েছিল। সেখান থেকেই আমার অভিনয়ের জার্নিটা শুরু হয়েছিল।

প্র: তোমার অভিনীত 'সৌমি' চরিত্রটাকে কতটা মিস করো তুমি?

অনন্যা সেন: 'সৌমি'কে আমি ডেফিনেটলি মিস করি কারণ 'সৌমি'র চরিত্রটা অনেকটা আমার মতো ছিল। এছাড়াও 'মনফাগুন'-এর কাস্টে যারা ছিলেন তারা প্রত্যেকেই খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিল আমার। তাই খুব মিস করি ওদের।

প্র: তোমার ইচ্ছা ছিল অপাদি'র মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করার। সেই সুযোগ পেয়েছিলে তুমি 'একান্নবর্তী' ছবিতে। সেই ছবিতে অভিনয় করার এক্সপিরিয়েন্স কেমন ছিল?

অনন্যা সেন: আমার বাকেট লিস্টে ছিল যে আমি এমন একটা ছবিতে কাজ করব যেখানে অপরাজিতা আঢ্য আমার মা হবে‌। তাই 'একান্নবর্তী' ছবির স্ক্রিপ্ট না শুনেই আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে অপা দি'র সঙ্গে আমার কতগুলো সিন রয়েছে? অপা'দি একজন এমন অভিনেত্রী যিনি জানেন নিজের কো-অ্যাক্টরকে কমর্ফটেবল করতে হবে। সেই জন্য খুব সহজেই সিনগুলো করতে পেরেছিলাম।

প্র: তোমার অভিনীত 'পিঙ্কি' চরিত্রটার জীবনের সঙ্গে অনেক মানুষের মিল রয়েছে। তাই এই চরিত্রটার সঙ্গে তুমি নিজেকে কতটা রিলেট করতে পেরেছ?

অনন্যা সেন: অনেকটাই রিলেট করতে পেরেছি। আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাকে এটা বলা হতো যে আমি মোটা বলে আমাকে ভাল চরিত্র দেওয়া যায় না। এই জিনিসটা চেঞ্জ হয়েছে আমার প্রথম কাজ থেকে তারপর আমি নিজেকে খুব লাকি মনে করি মীরা নায়েরের 'আ সুটেবল বয়'তে অভিনয় করার সুযোগ পাওয়ার জন্য।

প্র: তোমাকে 'একান্নবর্তী'র পর আবার 'দিলখুশ' ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিতে অভিনয় করার এক্সপিরিয়েন্সটা আমাদের শেয়ার করো।

অনন্যা সেন: এক্সপিরিয়েন্সটা দারুণ। আমার সকল কো-স্টারদের সঙ্গে ইনটার‍্যাক্ট করতে পেরেছি। মধুমিতা, ঐশ্বর্য্য, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও খরাজদা ছাড়াও আরও অনেক ভাল অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি আমি। খুব ভাল লেগেছে তাদের সঙ্গে কাজ করে।

প্র: তোমার সুটেবল বয় কেমন হবে?

অনন্যা সেন: তেমন কোনও ক্রাইটেরিয়া নেই। এমন কাউকে থাকলেই হবে যার সঙ্গে কথা বলে আমি এনজয় করতে পাবো।

এবার র‌্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে কোয়েশ্চেনের উত্তর দেবেন অভিনেত্রী অনন্যা সেন।

প্র: প্রথম প্রেমিকের নাম?

অনন্যা সেন: জিকো।

প্র: ফার্স্ট কিস?

অনন্যা সেন: জিকো।

প্র: মেল ও ফিমেল ক্রাশ?

অনন্যা সেন: মেল ক্রাশ শাহরুখ খান। ফিমেল ক্রাশ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

প্র: জন্মের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ?

অনন্যা সেন: আমার কলেজের বেস্ট ফ্রেন্ড একবার আমার সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি প্ল্যান করেছিল। সেটা সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ ছিল আমার কাছে। আর গোয়া ট্রিপের জন্য একটা সারপ্রাইজ ট্যুর প্ল্যান করেছিল তারা।

প্র: অ্যাক্টর না হলে কী হতে?

অনন্যা সেন: উকিল। কারণ আমি খুব ঝগড়া করতে ভালবাসি। তবে লজিক্যাল ডিবেট।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...