গোয়েন্দা চরিত্রে প্রথমবার দেখা গিয়েছে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকে। সিরিজের নাম 'শিকারপুর'। অঙ্কুশের এই নতুন রূপ আর সিরিজের প্রশংসা করেছেন দর্শকও। তবে কেষ্ট চরিত্রটি শুধু দর্শকের নয়, অভিনেতা অঙ্কুশের খুব প্রিয় একটি চরিত্র। জিয়ো বাংলার টলিকথার আড্ডায় এই সিরিজ ও কেষ্ট চরিত্রটি নিয়ে নিজের মনের কথা শেয়ার করলেন অভিনেতা।
প্র: 'শিকারপুর'-এ শিকার করে কেমন লাগল?
অঙ্কুশ হাজরা: আমি খুব খুশি কারণ আট থেকে আশির এই চরিত্রটা ভাল লেগেছে। মাস এবং ক্লাস দু’ধরনের অডিয়েন্সের গল্পটা ভাল লেগেছে। এটাই আমাদের টার্গেট ছিল কারণ ওয়েব সিরিজের গল্পটা ভাল তাই চেয়েছিলাম 'কেষ্ট'র চরিত্রটা যেন সবচেয়ে আলাদা হয় অন্য গোয়েন্দা চরিত্রগুলোর চেয়ে। তাই মানুষের প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি তখন মনে হচ্ছে যে আমাদের পরিশ্রমটা কাজে লেগেছে।
প্র: সন্দীপ্তা দি'র সঙ্গে এটা তোমার প্রথম কাজ। তাই এক সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল তোমার?
অঙ্কুশ হাজরা: খুব ভাল লেগেছে। ভবিষ্যতেও আমি ওর সঙ্গে অনেক কাজ করতে চাই। আমাদের সিরিজে একটা সিন রয়েছে যেখানে ও একজনকে খুব বিশ্রী ভাবে মারছে। সেই সিনটা করার সময় ওর চুল, জামা-কাপড় ঘেঁটে গিয়েছিল। তাও কিন্তু নিজের চরিত্রটা থেকে বেরোয়নি। আমি দেখেছি কমেডি সিন করার সময় অভিনেত্রীরা নিজের লুক নিয়ে খুব কনশাস থাকেন, কিন্তু সন্দীপ্তা মধ্যে এই ব্যাপারটা নেই।
প্র: সিরিজে সন্দীপ্তাদি অর্থাৎ চুমকির বাবা দিনদয়াল বাবুর সঙ্গেও একটা কেমিস্ট্রি রয়েছে কেষ্টর। কিন্তু চুমকির মা তোমাকে একদম পছন্দ করে না।
অঙ্কুশ হাজরা: হ্যাঁ, উনিও খুব ভাল অভিনয় করেছিলেন। আমাকে একটা দৃশ্যের উনি আমাকে মারতে আসছে। যেখানে দারুন অভিনয় করেছেন। এছাড়াও সকলে খুব ভাল কাজ করেছে। আমার খুব ভাল লেগেছে। আমি প্রথমবার রিলিজের পর পুরো সিরিজটা দেখেছিলাম। আমি কিন্তু সিরিজের প্রত্যেকটা ঘটনা জানতাম তাও আমার ন’টা এপিসোড দেখার সময় একবারও বোর লাগেনি। তার জন্য আমার মনে হয়েছিল অন্যদেরও ভাল লাগবে।
প্র: আসলে চরিত্রগুলোও খুব রিয়েলেস্টিক লেগেছিল।
অঙ্কুশ হাজরা: হ্যাঁ, খুব রিয়েলেস্টিক। এখানে দিনদয়াল বাবুর যে বাড়িটা দেখানো হয়েছিল সেটা আমরা সেটেও শ্যুট করতে পারতাম। কিন্তু আমরা নর্থ বেঙ্গলে গিয়ে একটা বাড়ি চুজ করে সেখানে শ্যুট করেছি। আর আমরা যখন ঐ বাড়িতে শ্যুটিং করছিলাম না তখন বাড়ির ভেতর ঢুকে অটোমেটিক নিজের ক্যারেক্টারটা হয়ে যাচ্ছিলাম। এটা খুব একটা জরুরী যে তুমি অভিনেতাকে কী পরিস্থিতিতে ফেলে দিচ্ছ। সেটের মধ্যে পুরো বিষয়টা খুব ফেক লাগে। এই জন্য আমি রিয়েল লোকশনে শ্যুট করা বেশি পছন্দ করি।
প্র: রিয়েল লাইফে কি তুমি গোয়েন্দাগিরি করেছ বা তোমার পিছনে কেউ গোয়েন্দাগিরি করেছে?
অঙ্কুশ হাজরা: একবার একজন আমার ডেবিট কার্ড চুরি করে বেশ কিছু টাকা চুরি করে নিয়েছিল। সেই সময় ঐ টাকাটা আমার কাছে অনেক মূল্যবান ছিল। আমি ব্যাঙ্ক থেকে তার ট্র্যানজ্যাকশন হিস্ট্রি বার করে বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে ঘুরে তার খোঁজ চালিয়েছিলাম। শেষে তাকে ধরতেও পেরেছিলাম। কিন্তু ধরা পড়ার পর তাকে আর কিছু বলিনি। আর আমার পিছনে ঐন্দ্রিলাই গোয়েন্দাগিরি করে। আর ধরেও ফেলে।
এবার একটা মজার খেলা খেলতে চলেছেন অভিনেতা অঙ্কুশ।
প্র: এমন কোনও মিথ্যে কথা যেটা তোমার মা জানে না?
অঙ্কুশ হাজরা : হ্যাঁ, আমি একটা বাইক কিনে ছিলাম সেটা খুব দামি বাইক ছিল। কিন্তু মাকে বলেছিলাম এটা আমার গিফট পাওয়া বাইক। কিন্তু ওটা আমি নিজের টাকা দিয়ে কিনেছিলাম।
প্র: তোমার সবচেয়ে অ্যাম্বারেসিং ফটো যেটা তোমার ফোনে রয়েছে?
অঙ্কুশ হাজরা: একটা ‘ম্যাক্সি’ পরে আমি ছবি তুলেছিলাম যেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলাম। অনেকে বলেছিল কেন এসব করতে গেলি। কিন্তু আমার এসবে কোনও যায় আসে না। কোনও দিন যদি এমন চরিত্র করি যেখানে একটা মেয়ে সাজতে হবে, তখন কী আমি করব না!
প্র: দর্শকদের উদ্দেশ্যে তুমি কী বলবে?
অঙ্কুশ হাজরা: আমি 'শিকারপুর' রিলিজের আগেও অনেকবার বলেছি 'শিকারপুর' দ্যাখো। তোমরা দেখেছো। প্রত্যেকের খুব ভাল লেগেছে এই সিরিজ। তাই আমাদের পুরো টিম খুব খুশি হয়েছে। কিন্তু যারা এখনও দেখনি তারা প্লিজ দেখে নাও।