জীবনে ‘স্ট্রং’ আর ‘ফ্লেক্সিবল’ থাকা কেন দরকার? অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রায় ভারসাম্য ফেরাবেন কী করে? নীরোগ ও সুস্থ থাকতে কেমন হওয়া উচিত প্রতিদিনের জীবনযাত্রা? টিপস দিলেন অভিনেত্রী দেবস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Debasmita Banerjee, Actress)
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি 'বিউটিফুল লাইফ'। এছাড়াও হিন্দি, অহমীয়া, ভোজপুরি ছবিতেও তিনি নিয়মিত মুখ। ‘বিউটিফুল লাইফ’ ছবিটি অভিনেত্রী দেবস্মিতার জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ। একজন অভিনেত্রীর জীবনে তাঁর সব ছবিই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই ছবির মুহূর্ত একটু আলাদা।
‘বিউটিফুল লাইফ’র ট্রেলার যেদিন লঞ্চ হয় সেদিন সকালে তাঁর মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়ার কাজ। সেই ক্রিয়কর্ম সেরে বিকেলে ছবির অনুষ্ঠানে আসেন তিনি। তাঁকে দেখে কেউ বুঝতেও পারেননি কোন ঝড়ের মধ্যে দিয়ে তিনি সেদিন অনুষ্ঠানে এলেন। প্রফেশনাল লাইফ আর পার্সনাল লাইফের ব্যালেন্স শেখায় এই ঘটনা। ‘স্ট্রং’ আর ‘ফ্লেক্সিবল’ মানসকিতার ঠিক কেমন হওয়া উচিত অভিনেত্রী দেবস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদাহরণ।
তাঁর কথায় আমাদের সব কিছুই সব কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে। স্ট্রং ও ফ্লেক্সিবল থাকার জন্য যথাযথ ডায়েট মেনে চলতে হবে। এক্সারসাইজ মাস্ট। তার সঙ্গে চাই পুরো মাত্রায় বিশ্রাম। এই তিন জিনিস মানুষের জীবনে ভীষণ দরকারী। শুধু গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড নয় সব ক্ষেত্রেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া খুব ভাল অভ্যাস। দেবস্মিতা নিজেও মেনে চলেন এই অভ্যাস। যদি বেশি রাতে মানুষ ঘুমাতে যায় তাহলে তার সঠিক মাত্রায় ঘুম হয় না। অনেক রাত জেগে কাজ আর অনেক বেলাতে ঘুম থেকে ওঠা এটা মোটেই স্বাস্থ্যর জন্য ভাল অভ্যাস নয়। সাড়ে দশটায় ঘুম আর পাঁচটায় উঠলে সারাদিনের কাজের ব্যালেন্স ঠিক থাকে। বাড়িতে ৩০ মিনিট কার্ডিও এক্সারসাইজ, প্রাণায়াম আর খাবারের অভ্যাস স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। ঘুম থেকে উঠে জল খেতে হবে। কাঁচা হলুদ খুব উপকারী। যারা কার্ডিও করতে পারেন না তাদের জন্য সেরা বিকল্প হাঁটা। আধ ঘন্টা হাঁটলেও যথেষ্ট। সারাদিনে তিন লিটার জল খেতে হবে। তেল মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। আর মন থেকে খুশি থাকতে হবে। নিজেকে নিজে ভালোবাসতে হবে।
শারীরিক, মানসিক, কাজের দুনিয়া তিন ক্ষেত্রের ফ্লেক্সিবিলিটি তিন রকম।
নিজেকে যত পজেটিভ রাখা যাবে তত মানুষের সঙ্গে ফ্লেক্সিবল ভাবে মেশা যাবে। প্রতিটা মানুষকে সম্মান করতে হবে। অসহায় মানুষকে সাহায্য করা। ব্যক্তিগত জীবনে ফ্লেক্সিবল থাকার এটাই আসল মন্ত্র। আত্মকেন্দ্রিকতা ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। জীবন থেকে হাসি কমে যাচ্ছে তাই স্ট্রেস বাড়ছে। হাসি ফিরলে জীবনে অনেক কিছু ফিরবে। সাফল্যের জন্য লেগে থাকতে হবে। ব্যর্থতা এলেও লেগে থাকতে হবে। কঠিন সময়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। তার মোকাবিলা করতে হবে। নিজের ভাল লাগার কাজে সময় দিন। যে মুহূর্তে মানুষ ভেঙে পড়ে সেই মুহূর্ত থেকেই তার পতন শুরু হয় তাই মনের জোরটা ধরে রাখতেই হবে। হতে হবে ভিতর থেকে শক্তিশালী।