Self Dependent Work Life- শুরু করতে গেলে একজন নারীর কোন কোন দিক খেয়াল রাখা উচিত? সংসার আর কাজের জীবনে ব্যালেন্স আনার সেরা রাস্তা কী? টিপস দিলেন কেফি মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট-এর প্রধান আকাঙ্খা মাঙ্গলানি (Aakanksha Manglani - Managing director and founder Kefi media and entertainment pvt Ltd)
মাত্র সতেরো বছর বয়সে পেশাজীবন শুরু করেছিলেন। ২০১৮ সালে মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইস্ট এন্টারপ্রেইনার পেজেন্ট। এখন কলকাতায় কেফি মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট হাউসের প্রধান আকাঙ্খা মাঙ্গলানি জানিয়েছেন, জীবনে স্ব থেকে যেটা জরুরি তা হল আত্মবিশ্বাস। কোনও কিছুই সহজে ধরা দেবে না। কাছের মানুষরা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পাশে থাকলেও আসল কাজটা নিজেকেই করতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ। আমি পারি- এটা আমাকেই প্রমাণ করতে হবে। বারবার চ্যালেঞ্জ করে জীবন আর সেরকম পরিস্থিতি এলে সেই চ্যালেঞ্জকে মেনে নিয়ে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকে না। সেখান থেকেই শুরু হয় জার্নি। লক্ষ্য স্থির থাকলে তবেই তাকে জয় করা যায়। এক্ষেত্রেও একজন মহিলাই সেরা যোদ্ধা। তাদের অনেক বেশি কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে হয়। ঘর, সংসার, পরিবার, কাজের জীবন। তার সঙ্গে নানা দায়িত্ব কর্তব্যর ভার। সব কিছুর মধ্যেই ভারসাম্য করতে পারে তারা। এই গুণ তাদের জন্মগত।
বিয়ে বা সিরিয়াস সম্পর্ক অনেক সময় মেয়েদের পেশা জীবনে প্রভাব ফেলে। বদলে যাওয়া জীবন যেন গতি খানিক কমিয়ে দেয়। কিন্তু ক্রমশ এই ছবি বদলাচ্ছে। অনেক মহিলাই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করে বা বিয়ের অনেকটা সময় পর নতুন করে কেরিয়ার শুরুর ভাবনা করেন। নিজের পেশা শুরু করার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। যেকোনও সময় নতুন শুরু করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস আর লক্ষ্য নির্বাচন একেবারে গোড়ার কথা। যে বিষয় বা যে পেশায় এগোতে চান সে বিষয়ে দরকার সঠিক পরিকল্পনার। নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে কী করতে চাই। রোড ম্যাপ আর প্ল্যান ঠিক থাকলে তবেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা যায়। হোমওয়ার্ক করে এগোতে হবে। এটাই প্রথম পদক্ষেপ।
ধরা যাক কেউ যদি শাড়ি নিয়ে কাজ করতে চায়, বা বুটিক করতে চায় তাহলে তাকে জানতে হবে কী ধরনের শাড়ির বাজারে চাহিদা আছে। টার্গেট সম্পর্কে জানতে হবে। ফ্যাশন কী চলছে, বিনিয়োগ কোথায় এবং কীভাবে করতে হবে সম্পর্কে জানতে হবে। যেটা করতে চাইছি আমি সেটা সম্পর্কে পুরোপুরি স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। ব্যবসার জন্য ঋণ পেতে গেলেও প্ল্যান থাকতে হবে।
পরিবার আর পেশা দুই জীবনে জরুরি। দুই দুনিয়ার ভারসাম্য রাখাটাই তাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটার সঙ্গে অন্যটা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে। কাজ থেকে বাড়িতে এলে বাড়ির সময় শুরু। বাকি থাকা কাজ আবার পরের দিন। পরিবারের সদস্যদের দেওয়া সময়ের মধ্যে যেন অফিস ঢুকে না পড়ে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে। কাজের দুনিয়ার মানসিক চাপ যেন ঘর পর্যন্ত না পৌঁছায়। কাজের দুনিয়ায় সফল হতে গেলে পরিবার সঙ্গে থাকলে আরও শক্তিশালী হয়।
মেয়েদের অনেক কিছুর জন্য লড়াই করতে হয়। ঘরে বাইরে তাদের লড়াই চলে। কখনও নিজের অধিকারের জন্য কখনও পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেতে।
প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশ বার করে বলতে হবে 'আমিই সেরা'। এই মন্ত্র আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার অব্যর্থ ওষুধ।