অ্যাজমা বা হাঁপানি কেন হয়? অ্যাজমা অ্যাটাক হলে কী করবেন? গরমে কীভাবে সমস্যায় ফেলে হাঁপানি? বিশ্ব অ্যাজমা দিবসের বিশেষ পর্বে সচেতনতা গড়ে তুলতে পরামর্শ দিলেন পালমোনোলজিস্ট ডাঃ চন্দ্রানী চট্টোপাধ্যায় ( Dr. Chandrani Chatterjee, Pulmonologist)
ডাঃ চন্দ্রানী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের অ্যাজমা দিবসের থিম asthma education empowerment. মানে হাঁপানি সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি নিজেই সঠিক চিকিৎসা নিয়ে রোগটির সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন। এই রোগ সঠিক চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বুকে চাপের অনুভূতি, শ্বাস কষ্ট, বারবার ঠাণ্ডা লাগা, কাশি, বুকে সাঁই সাঁই শব্দ হচ্ছে তাহলেই কিন্তু হাঁপানির আশংকা আসে। যদি এই লক্ষণগুলি দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। হাঁপানির একাধিক কারণ আছে। এলার্জি তার মধ্যে অন্যতম। শরীরের না না অঙ্গে দেখা যায়। ফুসফুসে হয় অ্যালার্জিক অ্যাজমা । অনেকের আবার তার সঙ্গে ফুড অ্যালার্জি হয়ে থাকে।
নন অ্যালার্জিক অ্যাজমাও হয়। যেটি অ্যালার্জি ছাড়াও অন্য একাধিক কারণে হয়ে থাকে। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক দুই অবস্থাতেই অ্যাজমা আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় মহিলাদের গর্ভধারণকালে অ্যাজমা য় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পেশাগত কারণেও অ্যাজমা হয়ে থাকে তাকে বলা হয় অকুপেশনাল অ্যাজমা । ওজন বেশি থাকলে এই রোগ হয়। অ্যাজমা র প্রাথমিক পর্যায়তেই চিকিৎসা শুরু হওয়া খুব দরকার।
বুকে চাপ, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক বন্ধ, হাঁপানিতে কথা বন্ধর অবস্থা হলে অ্যাজমা এটাক হয়েছে বলে বুঝতে হবে। এরকম হলে ইনহেলার নিতে হবে এবং চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।