করোনা কালে মানসিক অবসাদে ভোগার কারণ কী?

গোটা বিশ্বই এখন করোনার কবজায়। শুধু বিপদজনক এক ভাইরাস নয়, আরও নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে মানুষকে প্রতিদিন। একটানা ঘরবন্দি হয়ে থাকার যন্ত্রণা। রোগের আতঙ্ক। হাসপাতালে- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আরোগ্যের সন্ধান। এমনকি কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিরাও সুস্থ হওয়ার পরে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। একবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধুমাত্র ঐ রোগের বিরুদ্ধেই লড়াই চালিয়ে যায়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়ে। করোনা কাল শুরু হওয়ার পর এই ধরনের ‌সমস্যা প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা গেছে। তবে কমবয়সী ও বৃদ্ধরাই সবচেয়ে বেশি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

এই বিষয়ে নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন আশুতোষ কলেজের সাইকোলজি বিভাগের প্রধান বিশিষ্ট মনোবিদ ডাঃ রিমঝিম রায়।

মনোবিদ ডাঃ রিমঝিম রায় বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতির একদম শুরুর দিকে মানুষ খুব খুশি হয়েছিলেন লকডাউনের জন্য। কিন্তু একটানা বাড়িতে বসে কাজ করার ফলে একঘেয়েমি চলে এসেছে প্রত্যেকের মধ্যে। তবে সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাচ্চা ও বেশি বয়সীরা। যে সব বাচ্চাদের শেখার বয়স এখন‌ তারাই নিজেদের শেখার ইচ্ছা হারিয়েছেন। জীবনের শুরুতেই সামাজিক দূরত্ব তৈরি হওয়ার ফলে বাচ্চাদের আচরণের পরিবর্তন ঘটেছে। তাছাড়াও একভাবে টেলিভিশনের পর্দায় করোনা সংক্রান্ত খবর শোনার ফলে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন কমবয়সীরা।

এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে গেলে বাচ্চাদের সামনে করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা বন্ধ করতে হবে। একভাবে মোবাইল ব্যবহারের ফলেও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাচ্চারা।এছাড়াও কোভিড সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে চিন্তা করার ফলে মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছে বেশি বয়সীরাও।

অন্যদিকে ঘরে একভাবে বসে থাকার ফলে সংসারে অশান্তিও বেড়েছে। আর এই ধরনের ঘটনায় মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টেই ধরা পড়েছে এই তথ্য। তাছাড়াও নাবালিক মেয়েদের বিয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। এর ফলেও অনেক ছোট বয়স থেকেই মানসিক চাপ বেড়েছে মেয়েদের। তবে এই মানসিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ ব্যবহার করা বন্ধ করলে চলবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...