'টেস্ট টিউব বেবি' কী?

আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে অন্যতম উপায় হল আই ভি এফ। এই সময় দেশের প্রায় সব হাসপাতালে এই চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানালেন চিকিৎসক ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত।

চিকিৎসক ডাঃ প্রণব দাসগুপ্ত বলেছেন, টেস্ট টিউব বেবি সম্পর্কে সকলের ধারণা যে একটি টিউবের মধ্যে শিশুর জন্ম দেওয়া হয়। কিন্তু এমনটা নয় আসলে শিশুর জন্ম হয় টিউবের বাইরে। কোন মহিলার যদি বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা থাকে তাহলে প্রথমেই আই ভি এফ-এর কথা বলেন‌ না চিকিৎসকরা। প্রথমে ওষুধের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু তার আগে মহিলা ও পুরুষ দুজনের পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে তাদের মধ্যে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা। তারপর ছ’মাস ওষুধ ব্যবহার করার পরেও যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়। তখন রোগীকে আই ইউ আই করা হয়। যখন আই ইউ আই করেও কোনও সমাধান পাওয়া যায় না। তখন বাধ্য হয়ে রোগীকে আই ভি এফ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আই ভি এফ করার আগেও রোগীর কিছু পরীক্ষা করা হয়। আর আই ভি এফ করার সময় ইনজেকশন দিয়ে ওভারিতে অনেকগুলি ডিম স্টিমুলেট করা হয়। তারপর ডিমগুলোর দৈর্ঘ্য যখন ১৮ থেকে ২০ মিলিমিটারের মধ্যে আসে তখন রোগীকে অজ্ঞান করে সেই ডিমগুলো বাইরে বার করে আনা হয়। সেখানে যে ডিমগুলো ম্যাচিওর হয়েছে সেগুলির সঙ্গে রোগীর স্বামীর স্পার্মের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্যাটিলাইজেশন প্রক্রিয়া করা হয়। এই প্রক্রিয়াটা হওয়ার পর একটি শীতল স্থানে সেই ফ্যাটিলাইজড ডিমগুলো রাখা হয়ে। কিছু দিন পর সেগুলোকে রোগীর শরীরে সেগুলিকে প্রবেশ করানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাফল্যের চান্স বেশি থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের বয়স বাড়লে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এই প্রক্রিয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন- ওভারিতে জল জমে যেতে পারে। খুব বেশি ডিম স্টিমুলেট হলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে ফ্যাটিলাইজ প্রক্রিয়ার পর যদি কোনও ফ্যাটিলাইজড ডিম বা এগের ক্রোমোজোম পরিমান ঠিক না থাকে সেই ডিমটি রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো যায়। তাই আগে ক্রোমোজোমের পরিমাণ চেক করে নেওয়া হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...