'জগদ্ধাত্রী মা' আসছে আর মাত্র কটাদিনের অপেক্ষা। সারা চন্দননগর জুড়ে চলে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি। চন্দননগরের যত জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখা যায় তাঁদের মধ্যে উচ্চতম প্রতিমা হয় তেমাথা শিবমন্দির পূজা কমিটিতে। চলতি বছর তাঁদের পূজার ৭৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তাঁদের প্রস্তুতি দেখতে জিয়ো বাংলার জগদ্ধাত্রী পূজা পরিক্রমার ক্যামেরা বন্দি হল বিশেষ কিছু মূহুর্ত। সঞ্চালক শুভ ও বিশেষ অথিতি আরজে রাকেশ ও প্রজ্ঞার উপস্থিতীতে জমে উঠেছিল এই পরিক্রমা।
তাঁদের সদস্যদের থেকে জানা গেছে, সারাবছর ধরে চলে তাঁদের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রস্তুতি। তাঁদের ২৬ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা প্রতিমা যখন অলংকার ও মুকুট পরিধান করে তখন তার উচ্চতা হয় ৪০ ফুট। এই বিরাট প্রতিমাকে আনা-নেওয়া করার জন্য প্রায় ৩০০ জন লোক সহায়তা করেন, যাদের মধ্যে ২৫০জন ক্লাব সদস্য। এই পূজার বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা যার মধ্যে ২.৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে তাঁদের শোভাযাত্রাতে। সেখানকার মূল আকর্ষণ হব পুতুল নাচ। এছাড়াও থাকছে নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর চারটি দিন ধরে চলে খাওয়া দাওয়া যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নবমীর মহাভোগ।দশমীতে প্রতীমা বিসর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মত্ত থাকে তাই সেই দিনও খিচুড়ি বা ঘি-ভাত ভোগের আয়োজনকরা হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। সবমিলিয়ে এই বিশাল পূজার আমেজ উপোভোগ করতে হলে আসতেই হবে এই পূজা মন্ডপে।