মনকে শান্ত রাখার সহজ উপায়

দিন যত যাচ্ছে মানুষের মনের ধকলও তেমনই বাড়ছে। এখন যদি বলা হয়, শারীরিক পরিশ্রমই শুধুমাত্র মানুষকে কাহিল করে তোলে, তা একেবারেই ভুল। শরীরের মতন মানসিক বিভিন্ন দিক থেকেও একজন মানুষ কাহিল হয়ে পড়তে পারেন, ফলাফল স্বরূপ দেখা দিতে পারে-অস্থিরতা, উদ্বিগ্নভাব, ওভারথিংকিংয়ের মতন সমস্যার। মনোবিদ পৌলোমী ভট্টাচার্য্যকে মনের অশান্ত ভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রায় সববয়সী মানুষেরাই এখনকার যুগে মনের চঞ্চলতায় ভোগেন। আগেকার দিনে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ওভারথিংকিং সমস্যা দেখা গেলেও, বর্তমানে স্কুলে পড়া শিশু-কিশোরদের মধ্যেও এই অসুবিধা ধরা দিচ্ছে। পড়াশোনার চাপ, স্কুলে র‍্যাঙ্কিং-এর চাপ সব নিয়ে আজকালকার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা বাড়ছে। ড. পৌলমীর মতে, শিশুদের গ্যাজেট ব্যবহারও তাদের মনের মধ্যে অকারণে জটিলতা সৃষ্টি করতে বাধ্য।

তিনি জানান, বাচ্চার অভিভাবকদের উচিত সন্তানকে যতটা পারা যায় এইসব অত্যাধুনিক গ্যাজেটের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা। কখনোই মা-বাবার বাচ্চাদের হাতে সময় কাটানোর জন্য মোবাইল তুলে দেওয়া উচিত নয়। পৌলোমী আরও জানান, মা বাবাকে যতটা সম্ভব বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের সুন্দর সম্পর্ক বাচ্চারও মনের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।  সেপারেশন বা ডিভোর্স সাথে মনের অশান্তি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে, ড. পৌলোমী বলেন, একটা পরিবারকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই একে অপরকে বোঝাটা ভীষণভাবে জরুরি। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক গাঢ় করতে হলে, প্রতিদিন একসাথে অনেকটা সময় কাটানো মাস্ট। পরিবারের অশান্তি দেখা দিলে, প্রয়োজনে ফ্যামিলি কাউন্সিলিংও করা যেতে পারে।

একথা বলাই যায়, মানুষের মন অত্যন্ত গভীর এক অঞ্চল, যেখানে আলোকপাত করা দুরূহ এক বিষয়। কিন্তু তবুও, নিজেকে শান্ত রাখার চাবিকাঠি মানুষের নিজের কাছে। শুধুমাত্র কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই, যে কোনও ব্যক্তি মানসিক উদ্বিগ্নতা, চাঞ্চল্যের থেকে মুক্তি পেতে পারেন চিরতরে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...