পাহাড়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মহাবিপদে শন আর ঐশ্বর্য্য। কীভাবে বিপদের জট কাটিয়ে উঠলেন হনিমুন-কাপল? সেই গল্প বলছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সৌমিক চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নতুন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সিরিজ ‘হনিমুন’(Honeymoon)। কেমন হয়েছিল পাহাড়ে শ্যুটিং, 'টলিকথা'র আড্ডায় অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sean Banerjee), ঐশ্বর্য্য সেন (Aishwarya Sen) ও সুব্রত দত্ত (Subrat Dutt)
কী বলবে সিরিজ নিয়ে?
সুব্রত দত্তঃ শন বলো।
শন বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আমাদের যা বলার অলরেডি বলে দিয়েছি। এবার দর্শকদের প্রশংসা, রিভিউয়ের অপেক্ষায় আছি।
প্রঃ সুব্রতদা, তোমার চরিত্রটা এখানে অন্যরকম। প্রচুর শেড রয়েছে।
সুব্রত দত্তঃ শেড রয়েছে। আমার মনে হয় পুরো ক্রেডিটটা যাবে ক্লিক টিমের, যাদের আমরা নরম্যালি অনস্ক্রিন দেখতে পাই না, আমাদের 'হানিমুন টিম' এবং আমাদের 'ক্যাপ্টেন'সৌমিকদা, ডিওপি মধুশী সকলেরই। ভাইজাগে আমরা রোদের মধ্যে শুট করেছি। পাহাড় সমুদ্র। কিন্তু গল্পটার মধ্যে একটা মজা আছে। সিরিজ দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আমি খুব খুশি যে ঐশ্বর্য্য আর শনের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। এরা একদম নতুন, ফুল অফ এনার্জী। কখনও আমি টায়ার্ড হয়ে গেলে ওদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেতাম। সৌমিকদার সঙ্গে আমার তিন নম্বর কাজ। এখনও পর্যন্ত সিরিজের ভিওয়ার খুব ভাল।
প্রঃ ঐশ্বর্য্য, শনের সঙ্গে জুটিতে প্রথম কাজ, কেমন লাগছে?
ঐশ্বর্য্য সেনঃ খুব ভাল অভিজ্ঞতা। ও খুব ভাল একজন মানুষ। খুব ভাল অভিনেতা। সহ অভিনেতা ভাল হলে নিজের কাজটা করতেও সুবিধা হয়। সুব্রতদার সঙ্গেও ইনফ্যাক্ট এটা প্রথম কাজ। সুব্রতদার সঙ্গে সিনে আমি অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। আমি অবাক হয়ে দেখতাম এক্সপ্রেশন। শনের থেকে শিখেছি ডেডিকেশন।
প্রঃ শন, তোমার তো প্রথম ওয়েব সিরিজ, কেমন লাগল?
শন বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আমি সৌমিকদার কাছে গ্রেটফুল সুযোগ দেওয়ার জন্য। প্রথম অভিনীত ওয়েব সিরিজে এরকম স্ট্রং চরিত্র, প্লট এতো ভাল কো অক্টর্স পাব আশা করিনি। পুরো প্রসেস দারুণ ছিল।
প্রঃ থ্রিলার সিরিজে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা ধরে রাখা একটা ব্যাপার, এ ক্ষেত্রে 'হনিমুন' কতটা উত্তেজনা ধরে রাখতে পারবে বা পারছে ?
ঐশ্বর্য্য সেনঃ রিভিউ এখনও পর্যন্ত যা এসেছে তাতে আমরা বুঝতে পারছি দর্শক এনগেজ করতে পারছি। থ্রিলারের সঙ্গে এখানে রোমান্স, ড্রামা সব রকমের ফ্লেভার আছে।
প্রঃ সেটে কোনও মজার ঘটনা ঘটেছে?
সুব্রত দত্তঃ সেটে মজার থেকে আমি অন্য একটা কথা বলি। এই তিনটে চরিত্রের একটা অতীত আছে। যেটা খুব ইন্টারেস্টিং। সেই জন্য শুরুতে মনে হতে পারে স্লো বার্ণার টাইপের। ধীমে ধীমে যেমন মাটন রান্না হয় সেই রকম। এই সিরিজ প্রথমে স্লো মনে হলেও পরে মনে হবে না দেখে ওঠা যাবে না। এই সিরিজের অন্যতম পিলার ওখানকার লোকেশন। মজা করার সময় কমই পেয়েছি। যেখানে ছিলাম সেখানে সব কিছুতে কারিপাতা দিয়ে রান্না। আমার সব জায়গায় খাওয়ার অভ্যাস। তাই আমি একমাত্র সেই খাবার এনজয় করতে পেরেছি বাকি কেউ পারেনি।
ঐশ্বর্য্য সেনঃ স্পেশালি ভীমলিতে। আরাক্কুতে গিয়ে তাও একটু বাঙালি খাবার পেয়েছি। আমার একটু খাওয়া দাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। সুব্রতদা যখনই দেখি চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে।
শন বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ সুব্রতদা একদম বিন্দাস! এটাও ওঁকে দেখে আমাদের শেখার। আমাদের তো বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করতে হয় তো সেখানে সব কিছু নাও পাওয়া যেতে পারে। আমাদের শিখতে হবে।
সুব্রত দত্তঃ খাওয়া ব্যাপারটা ভীষণ পার্সোনাল একটা ব্যাপার। আমি যেহেতু দিল্লিতে অনেক দিন থেকেছি, মুম্বইতে এখন থাকি সেখানে আমি নিজেই কারিপাতা দিয়ে সব রান্না করি। ওটা আমার ভালই লাগে। স্বাস্থ্যর জন্য ভাল। ইডলি আর বড়াহটা আমার ব্রেকফাস্ট। প্রথমে একদম খেতে পারতাম না। ধীরে ধীরে অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে।
প্রঃ এবার বলো ‘হানিমুন’ নিয়ে দর্শকদের কী বলবে?
সুব্রত দত্তঃ আমরা এই সিরিজটা এমন একটা জায়গায় করেছি যেখানে পাহাড় আছে, সমুদ্র আছে। সিরিজ প্রিমিয়ারে প্রচুর অর্ডিয়েন্স এসেছিল, আপনারাও সঙ্গে থাকুন।
ঐশ্বর্য্য সেনঃ যারা অলরেডি দেখেছেন তাদের ধন্যবাদ, যারা দেখেননি প্লিজ দেখুন।
শন বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আপনারা প্রথম থেকে পজেটিভ রিভিউ পাঠাচ্ছেন। যারা দেখেননি তারাও প্লিজ সাবস্ক্রাইব করুন, দেখুন