সভ্য-অসভ্যের পরিচয়

৫১ তম বর্ষে তালা দক্ষিনপল্লি সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটি। ১৯৬৭ সাল  থেকে যাত্রা শুরু আর জি কর হাসপাতাল সংলগ্ন এই ক্লাবের। ক্লাবের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শ্রী বিশ্বনাথ সাউ. এবং  ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী দিলীপ সাহা। নগরায়নের জন্য ধ্বংস হচ্ছে সবুজ  আর সবুজের অভাবে একদিন হারিয়ে যাবে এই মনুষ্য জাতি।  সবুজ  বাঁচাও অভিযান ছিল এই ক্লাবের গতবছরের থিম. এই বছর তাদের চিন্তাধারায় এসেছে বদল. এইবছর তাদের চিন্তা ""সভ্য-অসভ্য".

এই যুগে বহু মানুষ আছেন যারা মানুষ চেনেন শুধুমাত্র হয় অর্থের নিরিখে না হয় সৌন্দর্যের নিরিখে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রাম  বাংলায় এমন অনেক উপজাতি আছে যাদের হয়তো অর্থের জোর নেই কিন্তু আছে একটি সুন্দর মন ও প্রকৃত মনুষত্ব। তথাকথিত সভ্য মানুষদের ভিড়ে কোথাও যেন  এই অল্প শিক্ষিত অল্প উপার্জিত এই জাতিগুলি পরিচিত হচ্ছে অসভ্য বলে. বড়  রেস্তোরা বড় ক্লাব এইসবে প্রবেশ নিষেধ এই "অসভ্য" জাতির। আচ্ছা সত্যিই কি এরা  অসভ্য নাকি আসল অসভ্য আমরা যারা ওই সাধারণ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোকে অসভ্য বলি তারা? প্রশ্ন  টা কিন্তু থেকেই গেলো দর্শকমণ্ডলীর জন্য। প্রতিমা শিল্পী শ্রী পরিমল পাল এবং মণ্ডপ সজ্জায় পাপাই সাঁতরা।

এই অপূর্ব চিন্তাভাবনা প্রত্যক্ষ করতে হলে চলে যেতে হবে শ্যামবাজার ৫ মাথার মোড় থেকে এম এন জি  গাঙ্গুলী রোড থেকে এস এস সি লেন এর উপর গড়ে ওঠা এই পুজো মণ্ডপে,  নিয়ারেস্ট ল্যান্ডমার্ক আর জি কর হাসপাতাল। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...