ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী করনীয়?

ডেঙ্গি এক মশা বাহিত রোগ। ম্যালেরিয়ার মতো মশার কামড়ের ছড়ায় এই রোগ। এডিস মশা থেকে ডেঙ্গি ছড়ায়। মশা কামড়ানোর ১৪ দিনের মধ্যেই রোগীর মধ্যে ডেঙ্গির উপসর্গগুলো দেখা দিতে শুরু করে। তাই এই রোগের চিকিৎসা ও উপসর্গগুলো সম্পর্কে জানালেন জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ অদ্রিজা ঘোষ।

জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ অদ্রিজা ঘোষ বলেছেন, ডেঙ্গি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এডিস মশাই ডেঙ্গি ভাইরাসের বাহক। ডেঙ্গি  সাধারণত চার ধরনের হয়। তবে ২০১৩ সালে একটি নতুন ডেঙ্গি ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যেটা শুধুমাত্র পশুদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। ডেঙ্গি হলে বোঝাটা একটু কঠিন। কারণ এর লক্ষণ গুলো সাধারণ জ্বরের মতোই। এছাড়াও চোখের পিছনে ব্যথা, মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। খিদে কমে যেতে পারে। এডিস মশা কামড়ানোর পর প্রায় ১৪ দিন পর থেকে ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রোগটা সিভিয়ার দিকে চলে গেলে নাক থেকে রক্ত বেরোয়ে ও শ্বাস কষ্ট হয়ে। তবে সিভিয়ার না হলে প্যারাসিটামল ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। আর বাড়িতে রেস্ট নিতে হবে।

কিন্তু রোগটা সিভিয়ার হয়ে গেলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। ডেঙ্গি র ভ্যাকসিন এখনও ভারতে আসেনি। আমেরিকা ও অন্যান্য কিছু দেশে ডেঙ্গির একটি ভ্যাকসিন আনা হয়েছিল। যদিও সেটার অনেক সাইড এফেক্ট থাকায় অনেক দেশে ঐ ভ্যাকসিনটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে আমাদের দেশেও গবেষণা চলছে। তাই আমাদের দেশেও হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ডেঙ্গি র ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে।

যাদের বয়স বেশি, সুগার বা অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের ডেঙ্গি হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কারণ তাদের শরীরের বেশি এফেক্ট করবে এই রোগ। ডেঙ্গির জন্য কিছু টেস্ট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে এই রোগ শরীরে আছে কী না তা বোঝা যায়। ডেঙ্গির জন্য 'এন এস ওয়ান অ্যান্টিজেন' টেস্ট করাতে হয়। যাদের একবার ডেঙ্গি  হয়েছিল তাদের যদি আবার ডেঙ্গি  হয় তাহলে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকে এই রোগ এড়িয়ে চলার উচিত। যাতে মশা না জন্মায় তার জন্য জমা জল দেখলে তা ফেলে দিতে হবে। এছাড়াও মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য ওডোমস ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...