নিউমোনিয়ায় শিশুরা ও‌ বয়স্করা কেন আক্রান্ত হন?

নিউমোনিয়া হল একটি সংক্রমণ জনিত রোগ। সাধারণত ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তবে অনেক সময় ছত্রাকঘটিত কারণেও নিউমোনিয়া দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠান্ডা লাগলে নিউমোনিয়ার সমস্যা হয়। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে নিউমোনিয়া নাও হতে পারে। যেহেতু শিশু ও বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই তাদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তাহলে নিউমোনিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলি কী কী? 

এই বিষয়ে নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ শৈবাল মৈত্র

ডাঃ শৈবাল মৈত্র বলেছেন, নিউমোনিয়া হচ্ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এই নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়। এছাড়াও রয়েছে ভাইরাল নিউমোনিয়া যেটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই যার নিউমোনিয়া হয়ে সে যদি অন্য কারুর সংস্পর্শে আসে তাহলে তারও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিউমোনিয়া ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। সাধারণত কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গগুলি দেখতে পাওয়া যায় একজন ‌নিউমোনিয়া রোগীর মধ্যে। অনেক সময় বয়স্ক মানুষের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে।

তবে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার রয়েছে। তবে ভাইরাল নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বরের ওষুধ ও কাশির ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া যায়। তবে ছত্রাক বা ভাইরাসের দ্বারা যে নিউমোনিয়া দেখা দেয় তার জন্য অ্যান্টিবাওটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ আছে। তবে এই সব ওষুধ ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ ব্যবহার করতে দেখা যায়। কখনই এই ধরনের কাজ করা উচিত নয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। নিউমোনিয়ার জন্য আলাদা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই ভ্যাকসিন নিলে নিউমোনিয়া সমস্যা বড় আকার ধারণ করবে না। সব বয়সের মানুষ এই ভ্যাকসিন নিতে পারেন। এছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে পারেন নিউমোনিয়া এড়িয়া চলার‌ জন্য। এছাড়াও প্রত্যেক দিন শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত তাহলেই এই সব ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...